মুম্বই: বাইকুল্লা জেলে বন্দী শিনা বোরা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে মারধর করার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হল মেডিক্যাল পরীক্ষায়। জে জে হাসপাতালের এক পদস্থ মেডিক্যাল আধিকারিক এ কথা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জেলে দাঙ্গাহাঙ্গামায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিচারাধীন বন্দী ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদিন আগে ইন্দ্রাণী অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁকে জেল আধিকারিকরা মারধর করেন। তাঁকে যৌন নিগ্রহ করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় প্রাক্তন মিডিয়া এক্সিকিউটিভ বাইকুল্লার জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন। গতকাল সিবিআই আদালত তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। সেই মতো এদিন সাড়ে বারোটা নাগাদ নাগপদা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলে ইন্দ্রাণীকে গালিগালাজ, যৌন নিগ্রহের হুমকির পাশাপাশি মারধর করা হয়েছে বলে সিবিআই আদালতের বিচারকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর আইনজীবী।

বিচারপতি প্রথমে ইন্দ্রাণীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠাতে বলেন। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দেন তিনি।

জে জে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় ইন্দ্রাণীর শরীরে আঘাত ধরা পড়েছে। তাঁকে মারধরের অভিযোগ সত্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৩ জুন এক মহিলা বন্দীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বাইকুল্লা জেলে। পরের দিন বন্দীরা বিক্ষোভ দেখায়। কেউ কেউ ছাদে উঠে পড়ে। খবরের কাগজ, নাগালে থাকা জেলের নথিপত্র পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বন্দীরা। তাদের অভিযোগ, মঞ্জু গোবিন্দ শেট্টে নামের ওই বন্দীকে এক মহিলা জেল কর্মী বেধড়ক মারধর করেন। এতেই মৃত্যু হয় মঞ্জুর।

জেলের এক আধিকারিক গত সোমবার বলেছিলেন, জেলে বন্দীদের দাঙ্গাহাঙ্গামায় উস্কানি দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী।