নয়াদিল্লি: বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন যুদ্ধবিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিরাট। গত ৩০ বছর ধরে ভারতীয় নৌবাহিনীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই যুদ্ধজাহাজ অবশেষে আগামী ৬ মার্চ অবসর নিচ্ছে। ভারতে ব্রিটেনে তৈরি শেষ যুদ্ধজাহাজ হল এই আইএনএস বিরাট। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে ভাইস অ্যাডমিরাল গিরিশ লুথরা বলেছেন, যখন এই যুদ্ধজাহাজ প্রথম কেনা হয়েছিল, তখন তা পাঁচ বছর ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ত্রিশ বছর নৌবাহিনীর সঙ্গে থাকল এই যুদ্ধজাহাজ। এই যুদ্ধপোতের অবসর ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
আইএনএস বিরাট প্রকৃতপক্ষে প্রথম জলে নেমেছিল ব্রিটিশ নৌবাহিনীর হয়ে ১৯৫৯-এর ১৮ নভেম্বর। ডিকমিশনড হয় ১৯৮৪-তে। ১৯৮৬-তে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধজাহাজ পরীক্ষা করে দেখে এই যুদ্ধজাহাজটি বেছে নেয়। ডেভোনপোর্ট ডকইয়ার্ডে মেরামতির পর ভারত ওই যুদ্ধজাহাজটি কিনে নেয়। ভারতে এর নাম হয় আইএনএস বিরাট।
ভারতে নতুন রূপ দেওয়া হয় এই যুদ্ধজাহাজটির। নেভিগেশন রেডার, নতুন অগ্নিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং নয়া ডেক ল্যান্ডিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়।
এই যুদ্ধজাহাজের ওজন ২৪ হাজার টন। ৭৪৩ ফুট লম্বা ও ১৬০ ফুট চওড়া। প্রতি ঘন্টা ৫২ কিমি গতিবেগে সমুদ্রে যাত্রা করতে পারে। এই জাহাজে তিনসামের রেশন সংগ্রহ করে রাখা যায়। আইএনএস বিরাটে ২৫০ জন অফিসার ও ১৫০০ নাবিক বহনের জায়গা রয়েছে। এতে লাইব্রেরি, জিম, এটিএম, টিভি এবং ভিডিও স্টুডিও ছাড়াও হাসপাতাল, দাঁতের চিকিত্সা কেন্দ্র এবং পানীয় জলের জন্য একটি ডিস্টেলাইজশন প্ল্যান্টও রয়েছে।
ভারতীয় নৌসেনায় সামিল হওয়ার পর আইএনএস বিরাট ১৯৮৯-এ প্রথমবার কোনও অভিযানে অংশ নেয়। শ্রীলঙ্কায় শান্তি স্থাপনের জন্য অপারেশন জুপিটার-এ সামিল হয়েছিল এই যুদ্ধজাহাজ।
২০০১-এ সংসদে জঙ্গি হামলার পর অপারেশন পরাক্রমেও সামিল হয়েছিল এই আইএনএস বিরাট।
এই যুদ্ধ জাহাজ ব্রিটেনের রয়্যাল নেভিতে ২৯ বছর আর ভারতীয় নৌবাহিনীতে ১৯ বছর মোতায়েন ছিল। ২,২৫০ দিনে প্রায় ১০,৯৪,২১৫ কিমি সমুদ্র সফর করেছে এই জাহাজ। এর অর্থ সমুদ্রে প্রায় ছয় বছর কাটিয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ এবং সেই সময়ে প্রায় ২৭ বার বিশ্ব পরিক্রমা করা যায়।
সবচেয়ে বেশি সময় পরিষেবার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নাম উঠেছে এই যুদ্ধজাহাজের।
৩০ বছর পর ৬ মার্চ অবসর যুদ্ধবিমানবাহী রণপোত আইএনএস বিরাটের
ABP Ananda, web desk
Updated at:
01 Mar 2017 11:44 AM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -