কলকাতা: লেনিনের মূর্তি-ভাঙা নিয়ে ত্রিপুরার রাজ্যপালের একাধিক ট্যুইট। আর সেই সব টুইট ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
এবার একেবারে রাষ্ট্রপতি ভবনে ই-মেল রাজ্যের বিদ্বজ্জনদের। অশান্তিতে ইন্ধনের আশঙ্কায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নবনীতা দেবসেন, জয় গোস্বামী, মনোজ মিত্র, কবীর সুমন, গৌতম, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িরা রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে লিখেছেন, ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় গত ৬ ও ৭ মার্চ টুইটের মাধ্যমে যে সব কথা বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় শপথ গ্রহণকারী কোনও রাজ্যপাল বলতে পারেন না। তথাগত রায়ের এই বার্তায় ত্রিপুরা সহ গোটা দেশেই উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। আপনিও নিশ্চই তা লক্ষ্য করেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে তিনি হিংসায় প্ররোচনা ও মদত দিচ্ছেন। আমাদের দাবি, অবিলম্বে ত্রিপুরার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
ত্রিপুরায় সিপিএমের পরাজয়ের পর বুলডোজার দিয়ে চুরমার করে দেওয়া হয় লেনিনের মূর্তি। ৬ তারিখ এ প্রসঙ্গে টুইট করেন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি লেখেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত এক সরকার কিছু গড়তে পারলে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত আরেক সরকার তা ভাঙতেও পারে। এরপরও একাধিক টুইট করেছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সমালোচনায় সরব বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। যদিও বাংলার বিদ্বজ্জনদের অভিযোগের নেপথ্যে রাজনীতি দেখছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, সাংবিধানিক এক্তিয়ার লঙ্ঘিত হয়নি।
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতা বা সরকারের মতবিরোধ রাজ্যে ও দেশে নতুন নয়। কিন্তু রাজ্যপাল ও নাগরিক সমাজের এই বিরোধ বেনজির। বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।