জম্মু:  নাগরোটা হামলার আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না মঙ্গলবারের হামলা। প্রশ্নের মুখে সেনাবাহিনীর ১৬ কর্পসের সদর দফতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাহলে কী সেনাক্যাম্পের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যার জেরে জঙ্গিদের আচমকা হামলা কেড়ে নিল সাত জওয়ানের জীবন? শুরু হয়েছে তদন্ত।


প্রসঙ্গত, গত পনেরো দিন ধরে লস্কর-ই-তৈবার এক শাখা সংগঠনের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ১৫ দিন ধরে ছক কষে এই হামলা চালানো হয়েছে। দশ দিন আগে হামলা চালানো হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সতর্ক করা হয়, দাবি সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের।

এই হামলার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। তখনই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে সেনাক্যাম্পের ভেতর ঢুকল জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, পিছন দিক থেকে ক্যাম্পের দেওয়াল পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। প্রথমেই তারা সেই কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যেখানে সেনা জওয়ানরা তাদের পরিবার নিয়ে থাকতেন। প্রথমে গুলি বিনিময় শুরু হতেই, এক অফিসার সহ তিন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়।

জঙ্গিরা যখন সেনা কমপ্লেক্স ঘিরে ফেলে, তখন ভেতরে ১২ জন সেনা জওয়ান, দুই মহিলা ও শিশু আটকে পরেছিল, তাঁদের উদ্ধার গিয়ে মৃত্যু হয় আরও এক অফিসার সহ দুই সেনা জওয়ানের।

যদিও কীভাব নাগরোটায় সেনাক্যাম্পের ভেতর জঙ্গিরা ঢুকে পড়ল, সেবিষয় এখনও সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি নর্দান কম্যান্ড। তবে গতকালের হামলায় তিন জঙ্গির যে মৃত্যু হয়েছে, সেখবর নিশ্চিত করা হয়েছে সেনা বাহিনীর তরফে।

সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দাবি গতকাল যেভাবে জঙ্গিরা হামলা চালায়, সেখান থেকে একটি বিষয় পরিস্কার তারা সেনা ক্যাম্পের কোথায় কী আছে সেবিষয় আগে থেকেই সব জানত। ওই আধিকারিকের দাবি, হয়তো এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা যাঁরা ক্যাম্পের ভিতর বিভিন্ন কারণে আসতেন, তাঁরা সমস্ত তথ্য পাচার করেছেন। তবে এটা সম্পূর্ণই অনুমানের ভিত্তিতে বলা, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে, দাবি ওই অফিসারের।