ডেপুটি পুলিশ সুপার (তফসিলি জাতি ও উপজাতি সেল) পি ডি মানবর বলেছেন, হরেশ উর্মিলাবেনের পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে বিয়ে করে কচ্ছ জেলার গাঁধীধামে নিয়ে যান। সেখানে নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন হরেশ। তবে উর্মিলাবেনের আত্মীয়স্বজন তাঁকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে, কয়েক সপ্তাহ বাদেই তাঁকে হরেশের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু দুমাস বাদেও তাঁরা সেই প্রতিশ্রুতি পালন না করায় উর্মিলাবেনের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বোঝানোর সিদ্ধান্ত নেন হরেশ। সোমবার হরেশ একটি মহিলা হেল্পলাইন সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে তাদের গাড়িতে চেপে ভারমোর গ্রামে যান। সেখানে পৌঁছে হরেশ গাড়িতে বসে থাকেন, হেল্পলাইন সংস্থার লোকজন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উর্মিলাবেনকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কথাবার্তা বলেন। হরেশ তাঁদের সঙ্গে এসেছেন, বুঝতে পেরেই ওই বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এসে ধারালো, ভোঁতা অস্ত্রশস্ত্র গিয়ে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। হরেশ মাথায়, শরীরর অন্যত্র আঘাত পেয়ে মারা যান।
এব্যাপারে হরেশের শ্বশুর, শাশুড়ি সহ আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুনের শাস্তি), ৩৪১ (অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়ার সাজা), ৩৫৩ (সরকারি কর্মীকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে হামলা), ১৪৭ (দাঙ্গার শাস্তি) অনুচ্ছেদের আওতায় ও তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে। যদিও অভিযুক্তরা সবাই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা।