কলকাতা: প্রতিদিন তিল তিল করে জমানো সঞ্চয়। সাড়ে চার কোটি মানুষের বড় ভরসা পিএফ। মধ্যবিত্তের সেই সঞ্চয়ে কি ফের কোপ পড়তে চলেছে? গত বছর ডিসেম্বরে পিএফের সুদের হার কমায় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গ্যানাইজেশন । ২০১৫-’১৬য় যা ছিল ৮ দশমিক আট শতাংশ। ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের জন্য তা কমিয়ে করা হয় আট দশমিক ছয় পাঁচ শতাংশ। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর অনুযায়ী, শ্রমমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে পিএফের সুদের হার আরও কমানো হতে পারে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের কপালে। পিটিআই সূত্রে খবর, শ্রমমন্ত্রকের ওই আধিকারিক দাবি করেছেন, বন্ডের মতো লগ্নি থেকে আয় কম হওয়ার জেরে পি এফের সুদ কমানো হতে পারে। তবে, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে এই খাতে কত আয় হয়েছে, তার হিসেব এখনও চলছে। তা সম্পূর্ণ হলে তবেই বোঝা যাবে শেষ পর্যন্ত পিএফের সুদ কত দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞদের অনেকে অবশ্য বলছেন, এখনও অনেক মধ্যবিত্তই চান না, পিএফের সঞ্চয়ের টাকা, বাজারে খাটাতে। সবার আগে তাঁরা চান, নিশ্চয়তা। তাতে তুলনায় কম রিটার্ন হলেও ক্ষতি নেই। পিএফ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নতুন একটি নীতি গ্রহণ করে ইপিএফও। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী মার্চ থেকে পিএফ অ্যাকাউন্টে ইটিএফের ইউনিট জমা পড়বে। প্রত্যেক গ্রাহক দেখতে পারবেন পিএফ অ্যাকাউন্টে নগদ কত জমা পড়েছে এবং এক্সচেঞ্জ ট্রেড ফান্ড বা ইটিএফের কত ইউনিট জমা পড়েছে। ইটিএফ ইউনিটের ডিভিডেন্ডও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। কিন্তু, বাজারে টাকা খাটানোয় গ্রাহক মোট কত টাকা রিটার্ন পেলেন তা জানা যাবে শুধুমাত্র পিএফের টাকা তুলে নেওয়ার সময়। তবে, পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম যেমন নগদে নেওয়া যাবে, তেমনই ইটিএফের ইউনিটও বিক্রি করা যেতে পারে । কিন্তু, সাধারণ মানুষের বক্তব্য একটাই, বছর বছর পিএফের হার কমানো হলে, অবসর জীবনে হাতে আর থাকবে কী!
ফিক্সড ডিপোজিটের পর এবার পিএফে সুদ কমার আশঙ্কা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 27 Nov 2017 06:33 PM (IST)