লখনউ: উত্তরপ্রদেশের নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে সাসপেন্ড হলেন আইপিএস অফিসার হিমাংশু কুমার। ২০১০ ব্যাচের এই আইপিএস একের পর এক টুইটে অভিযোগ করেন, যাদব পদবীর পুলিশ কর্মীদের বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে।

মনে করা হয়, উত্তরপ্রদেশের যাদবরা সমাজবাদী পার্টির ভোটব্যাঙ্ক। যাদব পুলিশ কর্মীরাও এসপি-র প্রতি সহানুভূতিশীল। তাই যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যমন্ত্রিত্বে প্রথম কোপটা এসে পড়েছে তাঁদের ওপর। টুইটারে এমনই অভিযোগ করেন ফিরোজাবাদের এসপি হিমাংশু কুমার। বলেন, সব যাদব পদবীধারী পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করতে বা রিজার্ভে পাঠিয়ে দিতে পুলিশ অফিসারদের মধ্যে তাড়াহুড়ো পড়ে গিয়েছে। সিনিয়র অফিসাররা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন, দাবি করেন, রাজ্য সরকার কোনও পুলিশ কর্মীর বদলির নির্দেশ দেয়নি।

কিন্তু হিমাংশু থামেননি। তাঁর পরবর্তী অভিযোগ ছিল, ডিজিপি অফিস অফিসারদের চাপ দিয়ে যাদব পুলিশ কর্মীদের শাস্তি দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের অফিসকেও এই পোস্টে ট্যাগ করেন তিনি।

তারপর অবশ্য পোস্টগুলি তিনি সব মুছে দেন, সাফাইও দিয়ে বলেন, লোকে তাঁকে ভুল বুঝেছে। কিন্তু বিতর্ক তাতে থামেনি। বুধবার এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়, শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে।

এই প্রথম অবশ্য নয়, এর আগেও খবরে এসেছেন হিমাংশু। গত বছর জুলাইয়ে তাঁর বিবাহ বিচ্ছিন্ন স্ত্রী প্রিয়া সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। বলেন, স্ত্রী তাঁর ইমেল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সহ সব ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীও পাল্টা পণের দাবি ও পারিবারিক হিংসা সংক্রান্ত মামলা করেন হিমাংশু ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে।