ইডি সূত্রের খবর, ওই জমির মালিকানা লালুর পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে একটি মল তৈরি হওয়ার কথা। জমিটির বর্তমান বাজার মূল্য ৪৫ কোটি টাকা।
আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ধারায় সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা গত সপ্তাহে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীকে জেরা করে। এর আগে লালু-রাবড়ির ছেলে তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকেও দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত জুলাই মাসে এই দুর্নীতির অভিযোগে ইডি লালু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা রুজু করে।
এর আগে সিবিআই-ও এফআইআর দায়ের করে লালু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালায়।
এফআইআরে সিবিআই অভিযোগ তোলে, প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকার সময় ২০০৪-এ ঘুষের বিনিময়ে দুটি কোম্পানিকে আইআরসিটিসি-র হোটেলগুলি রক্ষণাবেক্ষণের ভার তুলে দেন লালু। প্রাক্তব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রেম চাঁদ গুপ্তার স্ত্রীর মালিকানাধীন একটি বেনামি কোম্পানির মাধ্যমে পটনায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জমি হিসেবে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ।
সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি-ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করে।