ইম্ফল: মণিপুরের লৌহমানবীর মন গলেছে। ‘প্রেমিক’ ডেসমন্ড কুটিনহোর সব ‘দুর্ব্যবহার’ ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ইরম শর্মিলা জানিয়েছেন, মণিপুরের বিধানসভা ভোট শেষ হলে তিনি ডেসমন্ডকে বিয়ে করবেন।

সেনা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ১৫ বছরের অনশন আন্দোলন শেষে নতুন রাজনৈতিক দল গড়েছেন শর্মিলা। নাম দিয়েছেন পিপলস রিসারজেন্স অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স। থুবল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার ভোটেও লড়ছেন তিনি। যেভাবে ডেসমন্ড তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ব্যবহার করেছেন, সে জন্য সকলের কাছে তাঁর হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন শর্মিলা।

ডেসমন্ড কুটিনহোর জন্ম গোয়ায় হলেও তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। শর্মিলার অনশনের দিনগুলিতে তাঁর পাশে ছিলেন, শর্মিলা সমর্থকদের কাছে মারও খান। কিন্তু শর্মিলা অনশন ভাঙার পরেই রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে যান তিনি। কোনওভাবেই তাঁর খোঁজ না পেয়ে হতাশ শর্মিলা যখন রাজনীতিতে নামার কথা ঘোষণা করেন, তখন আবার মঞ্চে ডেসমন্ডের পুনঃপ্রবেশ। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় শর্মিলা সমর্থকদের যাচ্ছেতাই ভাষায় গালমন্দ করছেন তিনি।

শর্মিলার আত্মীয়স্বজন ও সমর্থকদের একাংশের দাবি, ডেসমন্ড র-এর এজেন্ট, তাঁর অনশন ভাঙার জন্য তাঁকে কাজে লাগানো হয়েছে। যদিও শর্মিলা তা মানেন না।

বৃহস্পতিবার রাতে ডেসমন্ডের ‘দুর্ব্যবহারের’ জন্য সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেছেন, তাঁর কিছু সমর্থক চান না, তিনি রাজনীতিতে নামার পর আর ডেসমন্ড তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। কিন্তু শর্মিলা তা মানবেন না কিছুতেই। একবার যখন মনস্থির করেছেন, তা কারও কথাতেই পাল্টানো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

৪৪ বছরের শর্মিলার দাবি, ডেসমন্ড প্রাণভয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারছিলেন না যেহেতু তাঁর তিন তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাঁর বয়সও শর্মিলার থেকে প্রায় ১০ বছর বেশি। ভোট মিটে গেলে তাঁকেই বিয়ে করবেন বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।