এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ইম্ফল (পশ্চিম)-এর মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট লামখানপাও টনসিং-এর সামনে ১০ হাজার টাকার পার্সনাল বন্ডে সই করে জামিন নেন শর্মিলা। তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে অনশন করে দেখলাম, কিছুই পেলাম না। এবার অন্য কায়দায় আন্দোলন করতে চাই। যে আন্দোলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী হব। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ আগস্ট।
ম্যাজিস্ট্রটের সামনে অনশন ভঙ্গের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে আইনি প্রক্রিয়া সংক্ষেপে সারার আর্জি জানান শর্মিলা। পার্সনাল বন্ডেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেন। তবে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে জানিয়ে দেন, নিজেকে দোষী ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু তাতে রাজি হননি শর্মিলা। শেষ পর্যন্ত শর্মিলার কথাই মেনে নেয় আদালত।
আগেই শর্মিলা জানিয়েছিলেন, তিনি প্রেমিককে বিয়ে করবেন। অনশন তুলে নিয়ে শর্মিলার মূল স্রোতের রাজনীতিতে নামার ঘোষণায় নানা মহল থেকে, বিশেষত জঙ্গি সংগঠনগুলি আপত্তি তোলায় পাল্টা শর্মিলাকে এদিন বলতে শোনা যায়, কেন আমাকে সাধারণ এক মানুষ বলে দেখা হয় না! তিনি বলেন, আমি ক্ষমতা চাই। মণিপুরের রাজনীতি অত্যন্ত নোংরা। সবাই এটা জানে। কিন্তু রাজনীতির লোকেরা এতে সামিল, সবাই এটা বোঝে না। আমি ২০ জন নির্দলকে আমার সঙ্গে যোগদানের ডাক দিচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী ইবোবিকে অপসারিত করতে চাই।