লখনউ: এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিমান ধরতে যাচ্ছিলেন। তাঁকে চৌধুরি চরণ সিংহ বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি সেখানে না যেতে পারেন। এমনই অভিযোগ করলেন অখিলেশ সিংহ যাদব। সমাজবাদী পার্টি (সপা) সভাপতির অভিযোগে হইচই পড়ে গিয়েছে।
এক ছাত্রনেতার শপথের অনুষ্ঠানেও সরকার ভয় পাচ্ছে বলে কটাক্ষ করে তাঁর এলাহাবাদ যাত্রা আটকাতে বিমানবন্দরে বাধা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন অখিলেশ। বিমানবন্দরের ভিতরে সেখানকার অফিসারদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার ছবি তুলেও ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন অখিলেশ। জানিয়েছেন, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল।










বিমানবন্দরের ডিরেক্টর এ কে শর্মা অবশ্য তাঁর কাছে অখিলেশকে আটকে দেওয়ার কোনও খবর নেই বলে দাবি করেছেন।
সপা সভাপতির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা। দলীয় সভাপতিকে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিষয়টি তুলতে চান বিধায়করা। সভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে যান তাঁরা। সপা নেতা নরেন্দ্র বর্মা বলেন, বর্তমান শাসককূল গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা করছে, আমাদের নেতার এলাহাবাদ যাত্রা আটকাচ্ছে। বচসা, বাকবিতন্ডা সভা মুলতুবি থাকে কিছুক্ষণ।
এদিকে অখিলেশকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার অভিযোগ শুনে মায়াবতীর প্রতিক্রিয়া, এটা দুর্ভাগ্যজনক, এই অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে লড়াই হবে। কেন্দ্র, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার কি বসপা-সপা জোট হওয়ায় এতই ভয় পেয়েছে যে এ জাতীয় অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিতে হচ্ছে, প্রশ্ন করেন বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) সভানেত্রী। এটা বিজেপি সরকারের সম্পূর্ণ একনায়কতন্ত্রের উদাহরণ বলে দাবি করেন তিনি।



পাল্টা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ সপা-র নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। আরও বলেছেন, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ই বলেছিল, সেখানকার ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে বিবাদ-বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অখিলেশ যাদবের সফরে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। তাদের অনুরোধেই সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার গতকালই সপা প্রধানের আপ্ত সহায়ককে জানিয়েছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের থাকার অনুমতি নেই।