শ্রীনগর: ফারুক আহমেদ দার নামে এক কাশ্মীরী যুবককে সেনার জিপে বেঁধে মানব ঢাল করে ঘুরিয়ে সেনা কর্তৃপক্ষের প্রশংসা পাচ্ছেন মেজর জেনারেল নিতিন লিতুল গগৈ। তিনি সেদিন পাথর ছোঁড়া বাহিনীর হাত থেকে বাহিনীর জওয়ানদের বাঁচাতেই দারকে জিপে বেঁধেছিলেন বলে দাবি গগৈয়ের।


কিন্তু দার আজ প্রশ্ন করেছেন, কাউকে বেশ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা টেনে নিয়ে যাওয়াটা কি সাহসের পরিচয়? মেজর গগৈকে পুরস্কৃত করেছে সেনা। 'সন্ত্রাস দমন অপারেশনে তাঁর নিরলস প্রয়াসের' স্বীকৃতি হিসাবে তাঁকে মেডেল দিয়েছে।

এ খবরে দারের প্রতিক্রিয়া, আমি বুঝতে পারছি না, কাউকে জিপে বেঁধে রাখাটা ওনার সন্ত্রাস বিরোধী অপারেশনের প্রয়াস কিনা।

৯ এপ্রিলের ঘটনার ব্যাপারে কোর্ট অব এনকোয়্যারি গঠন করেছে সেনা। কিন্তু তাঁকে সেনা বা পুলিশ-কেউই তাঁর ভাষ্য জানতে এখনও ডেকে পাঠায়নি বলে জানিয়েছেন দার। গোটা ব্যাপারটাই 'লোকদেখানো' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আরও বলেছেন, কখনই সিরিয়াস ছিল না ওরা। আমি এক ক্ষুদ্র মানুষ। কেনই বা ওরা মাথা ঘামাবে।

সেনার পাশাপাশি সেদিনের ঘটনার ব্যাপারে মামলা দায়ের করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশও। মঙ্গলবার বদগাঁমের চিল এলাকায় নিজের বাড়িতে দার বলেছেন, এক মাসেরও বেশি কেটে গেল। এখনও স্থানীয় পুলিশ কিছু জানায়নি আমায়। আমার বক্তব্যও নথিভুক্ত করা হয়নি।

দারের দাবি, তিনি ঘটনার দিন সন্ত্রাসবাদীদের ফতোয়া অগ্রাহ্য করে ভোট দিয়ে ফেরার পথে মেজর লিতুল গগৈয়ের সামনে পড়ে যান।
সেদিন ভোট দিতে বেরনোর জন্য এভাবে সাজা পেতে হল বলে ক্ষোভমিশ্রিত মন্তব্য করেছেন তিনি। জানাচ্ছেন, সেদিনের ঘটনার পর থেকে বদলে গিয়েছে তাঁর জীবন। লোকের চোখে দর্শনীয় বস্তু হয়ে উঠেছি, বলেছেন দার।