নাগপুর: এখানকার কস্তুরচাঁদ পার্ক ময়দানে স্থানীয় রাম মন্দির ট্রাস্টের সহযোগিতায় বিজেপি শাসিত নাগপুর পুর  নিগম পরিচালিত এইডস সচেতনতা শিবিরে হনুমান চালিশা পাঠের কর্মসূচি! তীব্র ক্ষোভ জানাল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ।

এ ব্যাপারে একটি জনস্বার্থ পিটিশনের শুনানির সময় বিচারপতি ভূষণ গাভাই ও বিচারপতি স্বপ্না জোশীর বেঞ্চ ‘ভারত কি শুধুই হিন্দুদের দেশ?’ এই প্রশ্ন করেছে।

বেঞ্চ বলে, কেন শুধুই  হনুমান চালিশা, কোরান-বাইবেল বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে কেন পাঠ করা হবে না? এইডস সচেতনতা আর হনুমান চালিশা পাঠের মধ্যে কীসের সম্পর্ক? এইডস কি শুধু হিন্দুদেরই হয়? প্রাণঘাতী  রোগ থেকে নিস্তার পেতে হনুমান চালিসা পাঠই কি একমাত্র রাস্তা? লোকে  হনুমান চালিশা শুনতে এলে কোরান, বাইবেল পাঠের সময়ও আসবে।

এইডস সচেতনতা প্রসার কর্মসূচি অনুষ্ঠান ও হনুমান চালিশা পাঠের মধ্যে অন্তত এক ঘণ্টার ব্যবধান রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। দুটি অনুষ্ঠান চলার সময়ই মঞ্চের দেওয়ালে আলাদা আলাদা ব্যানার টাঙানোর কথাও বলেছেন তাঁরা। দুই অনুষ্ঠানের পৃথক উদ্যোক্তাদের নামও আলাদাভাবে দেখাতে হবে।

হনুমান চালিশা পাঠের কথা না উল্লেখ করেই এইডস সচেতনতা প্রসার  অনুষ্ঠান নিয়ে নাগপুর পুরনিগমকে ব্যাপক প্রচার চালাতে বলেছে বেঞ্চ।

তাঁরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিপক্ষে নন, তবে সরকারি সংস্থার তাতে সামিল হওয়াতেই তাঁদের আপত্তি রয়েছে, বলেন বিচারপতিরা।