নয়াদিল্লি: ইসলামাবাদে কর্মরত ভারতীয় হাই কমিশনের ৩ আধিকারিকের কাছ থেকে গোপন তথ্য পেতে হানিট্র্যাপ পেতেছিল পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দারা আগেভাগে সে ব্যাপারে জানতে পেরে তাদের মতলব ভেস্তে দিয়েছেন।


এখনও পর্যন্ত যেটুকু তদন্ত হয়েছে, তাতে খবর, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিন্দুবিসর্গ ধারণা ছিল না, আইএসআই গোটা ঘটনায় জড়িয়ে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের তদন্তে পুরোপুরি সাহায্য করছেন তাঁরা। গত সপ্তাহের শুরুতে তাঁদের পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সম্ভবত আর ও দেশে পাঠানো হবে না তাঁদের।

মেয়েদের ব্যবহার করে শত্রু রাষ্ট্রের আধিকারিকদের ফাঁসানো গোটা বিশ্বেই নতুন কিছু নয়। কিন্তু পাকিস্তানের মত দেশে কোনও ভারতীয় সরকারি কর্মী এ ধরনের ফাঁদে আগে কখনও পা দেননি। এই ঘটনাতেও ওই আধিকারিকরা প্রথমেই বুঝে যান, তাঁরা ফাঁদে পড়তে চলেছেন। তাই দেরি না করে বরিষ্ঠ কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। তাঁদের বলা হয়, সঙ্গে সঙ্গে দেশে ফিরে আসতে।

কোনও গোপন তথ্য তাঁরা সরবরাহ করেননি বলে জানা গিয়েছে।

ওই আধিকারিকরা কাজ করতেন ভারতীয় হাইকমিশনের ভাষা বিভাগে। সরকারি নথির অনুবাদ করতেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, জুনিয়র এই কর্মীদের স্থানীয় হোটেলে আসার জন্য আইএসআই প্রেরিত মহিলারা বারবার প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন। ছক ছিল, মহিলাদের সঙ্গে থাকাকালীন তাঁদের ছবি তুলে রাখা হবে।

কেন্দ্র শিগগিরই ঠিক করবে, এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করবে তারা। অন্য কোনও জুনিয়র আধিকারিককে এভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে কিনা জানার চেষ্টা চলছে।

২০১০-এ ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি মাধুরী গুপ্ত গ্রেফতার হন। অভিযোগ, এক তরুণ আইএসআই কর্মীর প্রেমে পড়ে আফগানিস্তানে ভারতের কাজকর্ম সংক্রান্ত নথি তাদের হাতে তুলে দেন তিনি।