নয়াদিল্লি: নকশাল-মাওবাদীরা কীভাবে সন্ত্রাস ছড়ায়, তাদের নাশকতামূলক কার্যকলাপের মোডাস অপারেন্ডি কেমন, জানতে চায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এজন্য এ দেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির লোকজন নকশালদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এমনকী তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও কিনতে চেয়েছে আইএস।


নকশালদের সঙ্গে আইএসের তলে তলে যোগসাজস গড়ে ওঠার এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে এনআইএ। ভারতে আইএসের লোকজন নিয়োগের প্রধান দায়িত্ব পালনকারী সফি আরমর সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এই তথ্যের উল্লেখ করেছে জাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী তদন্ত সংস্থাটি। এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের নানা ধারায় চার্জ পেশ করেছে এনআইএ।

আমর ছাড়া চার্জশিটে নাম থাকা বাকিরা হল মহম্মদ নাফিস খান, মুদাব্বির মুস্তাক শেখ, আবু আনস, নাজমুল হুদা ও মহম্মদ আফজল। ২০১৫-র ৯ ডিসেম্বর আইএসের বিরুদ্ধে চার্জশিটটি পেশ করেছিল এনআইএ।

আজ এক বিবৃতিতে এনআইএ বলেছে, অভিযুক্তরা নকশালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সন্ত্রাসবাদী, নাশকতামূলক কার্যকলাপ, অপারেশনের ধাঁচ বোঝার চেষ্টা করেছিল। নকশালদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র কেনার প্ল্যানও ছিল তাদের।

এনআইএ জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতে দেশজুড়ে তল্লাশি চালিয়ে ১৮ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক পাউডার, জিআই পাইপ, অ্যানালগ ক্লক, ম্যাচ বক্স, ৯০০ এমএল হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড, আড়াই লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। দুজন অভিযুক্ত পরে রাজসাক্ষী হয়। তাদের শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করে নিম্ন আদালত।

অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ আইএসের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ভারতে খলিফা শাসন জারি করার উদ্দেশ্য সামনে রেখে জুনুদ-উল-খালিফা-ফিল-হিন্দ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছিল বলে দাবি এনআইএ-র। এদের মূল লক্ষ্য ছিল আইএসের হয়ে কাজ করার জন্য মুসলিম যুবকদের নিয়োগ করা, সিরিয়ায় বসে থাকা আরমরের নির্দেশ মেনে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো। সম্ভবত, সে হল আইএসের মিডিয়া প্রধান।