নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণের তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও এনআইএ-র দল ঘটনার তদন্ত করছে। এরইমধ্যেই জইশ-উল-হিন্দ নামে এক সংগঠনের নাম সামনে এসেছে। জইশ-উল-হিন্দ ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণের দায়স্বীকার করেছে।
যদি এটি কী ধরনের সংগঠন, এর যোগ কাদের সঙ্গে বা কোনও স্লিপার সেল কিনা, এ ব্যাপারে কোনও তথ্য তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাছে নেই।
বিস্ফোরণে ইরানি-যোগ


অন্যদিকে, তদন্তকারী সংস্থাগুলির তদন্তে ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণে ইরানি যোগ সামনে এসেছে। ঘটনাস্থল থেকে তদন্তকারী সংস্থাগুলি একটি চিঠি পেয়েছে। এতে লেখা এ তো শুধু ট্রেলার ছিল।এই চিঠিতেই ইরানে দুই ইরানির হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, তারা সেনা কমান্ডার জেনারেল কাসিম সুলেমানির হত্যার বদলা নেবে। চিঠিতে পরমাণু বিজ্ঞানী আর্দেশিরের হত্যার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইরানের প্রথমসারির ওই পরমাণু বিজ্ঞানীকে ড্রোন-গানে হত্যা করা হয়েছিল। ইরান এই ঘটনায় ইজরায়েলকে দায়ী মনে করে। ২০২০-র ৩০ নভেম্বর ওই পরমাণু বিজ্ঞানী ড্রোন হামলায় নিহত হন। এজন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট সরাসরি ইজরায়েলকে দায়ী করেছিলেন।
উল্লেখ্য, আট বছর পর দিল্লিতে কোনও বড় ধরনের বিস্ফোরণ হল। শেষবার দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল ২০১২-র ১৩ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় ইজরায়েলি কূটনীতিকদের নিশানা করা হয়েছিল। দূতাবাসের কর্মচারী সহ ৪ জন জখম হয়েছিলেন। এর আগে ২০১১-র ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে বিস্ফোরণ হয়েছিল। হাইকোর্টের বাইরে বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জখমের সংখ্যা ছিল ৮০।

গতকাল বিকেল ৫টা ৫ নাগাদ রাজধানীর নিরাপদতম ভিআইপি জোনে ইজরায়েলি দূতাবাসের কাছে হয় স্বল্প ক্ষমতাসম্পন্ন এই আইইডি বিস্ফোরণ। এতে কেউ হতাহত না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি গাড়ি। দিল্লি পুলিশ শুধু এইটুকু জানিয়েছে, বোমাটির ক্ষমতা বেশি ছিল না, বিস্ফোরণের কারণ ছিল মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি। কিন্তু বিশেষ চিন্তার বিষয় হল, যখন বিস্ফোরণ ঘটে, তখন ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে বিটিং রিট্রিট প্রোগ্রাম চলছিল, অনুষ্ঠানের আগে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি গোটা এলাকার সুরক্ষা ব্যবস্থা তন্ন তন্ন করে খতিয়ে দেখে। তারপরেও এই ঘটনা। জানা যাচ্ছে, ইজরায়েলি দূতাবাস থেকে মাত্র দেড়শ মিটার দূরে এক চলন্ত গাড়ি থেকে একটি প্যাকেট ছুঁড়ে ফেলা হয়, তারপরই ফাটে বোমা। প্রাথমিক তদন্তে খবর, এই বোমা বাজারে বিক্রি হওয়া মামুলি জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।