নয়াদিল্লি: বিদেশি প্রযুক্তির ভরসা ছেড়ে ডালপালা মেলা অনেকদিন ধরেই শুরু হয়েছে। এবার সেই প্রচেষ্টাতেই সবথেকে মূল্যবান সংযোজন ঘটাতে চলেছে ইসরো। এই প্রথম সম্পূর্ণভাবে এ দেশে তৈরি একটি মহাকাশযান পরীক্ষামূলকভাবে মহাশূন্যে পাঠাচ্ছে তারা। বর্ষা পড়লেই শ্রীহরিকোটা থেকে আকাশ পাড়ি দেবে একেবারে স্বদেশি এই রিইউজেবল লঞ্চ ভেহিকল- টেকনোলজি ডেমনোস্ট্রেটর বা সংক্ষেপে আরএলভি- টিডি। বঙ্গোপসাগরের ভার্চুয়াল রানওয়ের ওপর পাক দেবে এটি। এই উড়ানের মাধ্যমে পরখ করা হবে শব্দের থেকে বেশি দ্রুত ভ্রমণের ক্ষমতা এটির আছে কিনা, যাকে বলে হাইপার সনিক এক্সপেরিমেন্ট।


যে যানটি নিয়ে দেশীয় মহাকাশচর্চায় এত বড় উড়ানের প্রহর গুণছে ইসরো, রবিবার শ্রীহরিকোটায় দেখা দেল সেটিকেই। আকারে, ওজনে কোনওদিকেই একটি এসইউভি-র থেকে বড় নয় এই মেড ইন ইন্ডিয়া মহাকাশযান। বৈজ্ঞানিকদের আশা, পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই মহাকাশযান উড়ানের খরচ অন্তত দশগুণ কমিয়ে আনতে পারবেন তাঁরা। এর আগেও যে ন্যূনতম অর্থব্যয়ে ইসরো সফল মঙ্গল অভিযান করে, তা নাসাও কল্পনা করতে পারেনি।

আরও পড়ুন সপ্তম উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ, মার্কিন জিপিএস-এর উত্তরে চালু দেশীয় ‘নাবিক’

আরএলভি- টিডি তৈরিতে সময় লেগেছে ৫ বছর, কেন্দ্র এতে বিনিয়োগ করেছে ৯৫ কোটি টাকা। তবে মহাকাশে পাকাপাকিভাবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযান পাঠানো এখনও ১০- ১৫ বছরের ধাক্কা। সম্ভবত আরএলভি-র নাম রাখা হবে ‘কালামযান’, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও মহাকাশ বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালামের স্মৃতিতে। মহাকাশচর্চায় ভারতকে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে দেখার স্বপ্ন বরাবর পোষণ করেছেন যিনি।