৫ মাস আগে গরু পাচারের অভিযোগে রাজস্থানের আলোয়ারে গোরক্ষকদের হাতে খুন হন ঘি মাখনের কারবারি পেহলু খান। তাঁর ছেলে ইরশাদকেও প্রচণ্ড মারধর করা হয়। কিন্তু সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫ জনের মধ্যে ৬ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এরা হল ওম যাদব, হুকুমচাঁদ যাদব, সুধীর যাদব, জগমল যাদব, নবীন শর্মা ও রাহুল সাইনি। যদিও ২ নাবালক সহ বাকি ৯ জনের বিরুদ্ধে চলছে মামলা।
ইরশাদের অভিযোগ, তাঁর বাবার খুনে অভিযুক্তরা এভাবে মুক্তি পাওয়ায় পুলিশের হাত রয়েছে। পুলিশ ঠকাচ্ছে তাঁদের। তাঁর দাবি, যারা ছাড়া পেয়েছে, তারাই তাঁদের ওপর সেদিন হামলা শুরু করে। বাকি ৯ জন পরে যোগ দেয়।
জবাইয়ের জন্য গরু নিয়ে যাচ্ছেন অভিযোগে রাজস্থানের আলোয়ারে গণধোলাই দেওয়া হয় হরিয়ানার মেওয়াটের বাসিন্দা ৫৫ বছরের পেহলু খান সহ ৫ জনকে। পেহলুর ছেলে ইরশাদ সহ ৪ জন একটুর জন্য বেঁচে যান। কিন্তু ঘটনার ২ দিন পর হাসপাতালে মারা যান পেহলু। তাঁদের সঙ্গে থাকা গরু, টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। যে গাড়িটি করে তাঁরা যাচ্ছিলেন ভেঙে ফেলা হয় সেটিও।
ইরশাদের অভিযোগ, কোনও পুলিশ কর্মী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইছেন না। ভীত আইনজীবীরাও। তাঁর আইনজীবী অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করতে তাঁর কাছ থেকে ৫২,০০০ টাকা নেন। তাহলে কী করে জামিন পেয়ে গেল ৬ অভিযুক্ত।
মামলা আলওয়ার থেকে না সরালে সুবিচারের সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন তিনি।