জয়পুর: কোঠাপুতলির কাছে হাদুয়াতা এলাকায় চালান একটি সামান্য চায়ের দোকান। অথচ ৬ মেয়ের বিয়েতে দেড় কোটি টাকার বেশি পণ দিয়েছেন তিনি। ফেঁসে গিয়েছেন রাজস্থানের এই চা ওয়ালা। আয়ের উৎস জানতে আয়কর আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর কাছে।


৪ তারিখ একসঙ্গে ৬ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন লীলারাম গুর্জর। সেই বিয়ের ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, নোটের তাড়া তুলে লোককে দেখাচ্ছেন তিনি, চিৎকার করে নোট গুণছেন। তারপর তা তুলে দিচ্ছেন বরপক্ষের হাতে।

মঙ্গলবার আয়করের নোটিশ পেয়েছেন গুর্জর। গতকালই তাঁকে ডেকে পাঠায় আয়কর দফতর কিন্তু তিনি আসেননি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আজ পর্যন্ত তাঁরা দেখবেন। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। গুর্জরের আয়ের ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হবে, দেখা হবে তিনি রিটার্ন ফাইল করেন কিনা। আয় সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হবে।

একলপ্তে দেড় কোটি টাকা বার করে দেওয়ার পাশাপাশি ৪ অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যার বিয়ে দেওয়ার অভিযোগেও ফেঁসেছেন গুর্জর। জানা গিয়েছে, শুধু বড় ২ মেয়ের বিয়ের কার্ড ছাপেন তিনি। অথচ বাকি ৪ মেয়েরও একইসঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।

পুলিশ এখন খুঁজছে গুর্জর পরিবারকে। কিন্তু তাঁরা উধাও। তাঁদের আত্মীয়দেরই পুলিশ স্টেশনে আসতে বলা হয়েছে।