নয়াদিল্লি: মি টু আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানালেন, একাধিক মহিলার তোলা যৌন হেনস্থার মুখে কাঠগড়ায় ওঠা কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে অভিমত জানালেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। রাজ্যসভার বিজেপি সদস্য স্বামী বলেছেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী তাঁকে নিয়োগ করেছেন, সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই। আমি প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করব না এ ব্যাপারে। যদিও একইসঙ্গে স্বামীর মত, আকবরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা তিনি মন্ত্রী হওয়ার আগের সময়ের, যখন তিনি সম্পাদক পদে ছিলেন। সুতরাং তাঁকে এজন্য মন্ত্রিত্বের বিনিময়ে মূল্য চোকাতে হবে কিনা, সেটা স্থির করতে পারেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই। তিনি সব মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন, দায় নির্দিষ্ট করার কাজও তাঁর।
যে মি টু প্রচারের ফলে নানা পেশার মহিলারা অতীতে তাঁদের যৌন হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ তুলে আলোড়ন ফেলেছেন, তাকে সমর্থন করে স্বামী বলেছেন, এটা ভাল ব্যাপার। জেনেশুনে, ছক কষে কাউকে ফাঁসানোর হাতেগোনা কিছু ঘটনা থাকতেই পারে, কিন্তু তা সব ক্ষেত্রেই হয়, মিথ্যা খুনের মামলায়ও তো ফাঁসানো হয়। কিন্তু মহিলাদের মুখ খুলতে উত্সাহ দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, বিদেশ সফরে থাকা আকবর এখনও তাঁর বিরুদ্ধে প্রাক্তন মহিলা সহকর্মীদের তোলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। বিজেপি নেতৃত্বও সরকারি ভাবে কিছু বলেনি। দলীয় নেতাদের মত, ভারতে ফেরার পর আকবরকেই তাঁর অবস্থান জানাতে হবে।