আমদাবাদ: নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদে ১০ লক্ষ জমা পড়ার অভিযোগে আয়কর নোটিস গেল এক মুচির কাছে!


খবরে প্রকাশ, গুজরাতের জুনাগড় শহরের এম জি রোডের একটি ধারে লোকের জুতো মেরামত করেই দিন গুজরান করেন ৫৫ বছরের মনসুখ মকওয়ানা।


কিন্তু, শনিবার মনসুখের ‘মনের সুখ’ উড়ে যায় আয়কর নোটিস হাতে আসার পর। ওই নোটিসে বলা হয়, তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা নগদ জমা পড়েছে। ওই টাকার উৎস সম্পর্কে তাঁর জবাব চাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয়, নোটিস আসে তাঁর ফুটপাথের ‘ঠিকানায়’, যেখানে বসবাস করেন এই ব্যক্তি।


মনসুখ বলেন, আমি স্তম্ভিত। আমি জীবনে এত টাকা উপার্জন করিনি। আমি বড়জোর দিনে ২০০ টাকা কামাই। তাহলে কী করে আমি এত টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেব, প্রশ্ন করেন মনসুখ। তিনি দাবি করেন, নোটিস পেয়ে তিনি এত ভয় পেয়ে যান, যে একসময় তাঁর মনে হয়েছিল, আত্মহত্যা করবেন।


নিকটবর্তী চিম্বাওয়াড়ি গ্রামের বাসিন্দা মনসুখ গত ২৫ বছর ধরে রাস্তার ওই একই জায়গায় বসে কাজ করে চলেছেন। তিনি জানান, ব্যাঙ্ক অফ বরোদায় তাঁর একটি জনধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যদিও, কী করে তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা জমা পড়ল তা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেন মনসুখ।


খবর প্রকাশ্যে আসতেই মনসুখের সঙ্গে দেখা করতে যান জুনাগড়ের বিজেপি বিধায়ক মহেন্দ্র মশরু। তাঁর দাবি, সম্ভবত আয়কর বিভাগের তরফে কোনও ভুল হয়েছে। তিনি আরও জানান, মনসুখের অ্যাকাউন্টে এমন কোনও লেনদেন হয়নি।