নয়াদিল্লি: প্রিয়ঙ্কা ভঢরাকে উত্তরপ্রদেশে দলের মুখ করে ভোটে লড়ার প্রস্তাব জোরালো হতে না হতেই ফের ভঢরাগেটে গাড্ডায় পড়ল কংগ্রেস। প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট ভঢরার সঙ্গে বিতর্কিত অস্ত্র কারবারি সঞ্জয় ভাণ্ডারির যোগসাজসের পর্দাফাঁস করেছে আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের গোয়েন্দারা ভঢরা ও ভাণ্ডারির মধ্যে চালাচালি হওয়া অন্তত চারটে ইমেল হাতে পেয়েছেন, যেগুলোয় লন্ডনে সনিয়া গাঁধীর জামাইয়ের এক বেনামি সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা চলেছে। ভঢরার আইনজীবী অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ এক কথায় অস্বীকার করেছেন। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও বরাত নিয়ে ভঢরা ও ভাণ্ডারির কখনও যোগাযোগ হয়নি বলে তাঁর দাবি।
গত মাসেএনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও আয়কর দফতর ভাণ্ডারির ১৮টি সম্পত্তিতে হানা দিয়ে তল্লাশি চালায়। প্রাথমিকভাবে তারা যে রিপোর্ট পেশ করে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ভঢরা ও তাঁর সহকারীর সঙ্গে ভাণ্ডারির লন্ডনে বসবাসকারী এক আত্মীয় সুমিত চাড্ডার মধ্যে বারবার ইমেল চালাচালি হয়েছে। সে সব ইমেলে জানা গেছে, ২০০৯-এ লন্ডনের ব্রায়ানস্টন স্কোয়ারে ১৯ কোটি টাকা দিয়ে একটি বাড়ি কেনেন ভঢরা, ২০১০-এ বেচে দেন। সেটি সংস্কার করা নিয়েও আলোচনা চলেছে দুজনের মধ্যে।
বিদেশি গাড়ি আমদানি করতে গিয়ে করফাঁকি দেওয়ার কারণে ২০০০ সালে জেল খাটেন এই ভাণ্ডারি। এখন তিনি অফসেট ইন্ডিয়া সলিউশনসের মালিক। ২০০৮-এ এই সংস্থার পেড আপ ক্যাপিটাল ছিল মাত্র ১ লাখ টাকা। তা আচমকা বেড়ে কয়েক কোটিতে দাঁড়ানোয় আয়করের নজরে পড়েন তিনি। ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিমান রাফালে ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তিতেও জড়িয়ে গিয়েছে এই অফসেট ইন্ডিয়ার নাম।
যদিও লন্ডনে ভঢরার সম্পত্তি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি ভাণ্ডারি। ইডি ও আয়কর হানার সময় নিজের ব্ল্যাকবেরি ফোন নষ্ট করে ফেলারও নাকি চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিপত্রগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে ফৌজদারি মামলা করা যায় কিনা দেখতে বিদেশমন্ত্রককে অনুরোধ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।