নয়াদিল্লি: রাজস্থান প্রশাসনের জারি করা নতুন অর্ডিন্যান্স নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে কটাক্ষ করলেন রাহুল গাঁধী।


কংগ্রেস সহ-সভাপতির দাবি, এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারক ও সরকারি আমলাদের রক্ষা করতে চাইছে রাজস্থান সরকার।


এদিন টুইটারে রাহুল লেখেন, ম্যাডাম মুখ্যমন্ত্রী, অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বাস করি। এটা ১৮১৭ নয়, ২০১৭ সাল।


গত ৭ সেপ্টেম্বর জারি করা ওই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, বিচারক ও সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে না।


অর্ডিন্যান্সে আরও বলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে যতক্ষণ না তদন্তের অনুমতি মিলছে, ততক্ষণ কোনও সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হবে না।


অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, বিচারক বা সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পর অভিযুক্তদের ১৮০ দিনের রক্ষাকবচ দেওয়া হবে।


এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে যে তদন্ত প্রক্রিয়া হবে কি না। এই সময়সীমা পার হওয়ার পরও যদি সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, তদন্তের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


বসুন্ধরা-প্রশাসনের জারি করা এই অর্ডিন্যান্স ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীরা দাবি করে, দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের বাঁচাতে এবং বাকস্বাধীনতা রোধ করতেই এই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে।


শনিবার, রাজস্থান সরকারের এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে ময়দানে নামেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়া। বিরোধীদের তোলা অভিযোগকে খারিজ করেন তিনি। বলেন, রাজ্য সরকার কোনওভাবেই কাউকে আড়াল করতে চাইছেন না।


তাঁর পাল্টা দাবি, বহুক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ যদিও পরবর্তীকালে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়, তাহলেও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়। একে রোখার জন্যই এই অর্ডিন্যান্স।