আমদাবাদ: পছন্দের দপ্তর না পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা নীতিন পটেলকে ঘিরে আলোড়িত গুজরাতের রাজ্য রাজনীতি। দুদিন আগেই দপ্তর বন্টন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। আগের সরকারে অর্থ, নগরোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর নীতিনের হাতে ছিল। কিন্তু এবার তাঁকে দেওয়া হয়েছে রাস্তা, ভবন, স্বাস্থ্য, মেডিকেল শিক্ষা, নর্মদা, কল্পসার ও ক্যাপিটাল প্রকল্পের মতো দপ্তর। এতে তিনি খুশি নন। এবার অর্থ দপ্তর পেয়েছেন সৌরভ পটেল, আর নগরোন্নয়ন দপ্তর নিজের হাতে রেখেছেন রূপানি।
এখনও পর্যন্ত কোনও দপ্তরের ভার নেননি পাতিদার সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা নীতিন। আজ সকাল থেকে দলীয় অনুগামীরা তাঁর বাসভবনে ভিড় করেন তাঁকে সমর্থন জানাতে। নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, সেই সময়ের মন্ত্রী নরোত্তম পটেল এদিন বলেন, নীতিনকে তাঁর মর্যাদা, গুরুত্বের সঙ্গে মানানসই দপ্তর দেওয়া উচিত। নীতিন ভাই সাধারণ কোনও মন্ত্রী নন।
নীতিনও জল্পনার মধ্যে বলেন, দলের হাই কম্যান্ডকে আমার অনুভূতির কথা জানিয়েছি। আশা করি শীঘ্রই যথোপযুক্ত জবাব আসবে। এটা শুধু কয়েকটা দপ্তরের ব্যাপার নয়, আমার কাছে আত্মমর্যাদার প্রশ্ন।
রূপানি অবশ্য আজ নীতিনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান।
পাতিদার নেতারা নীতিনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। পাশাপাশি সৌরাষ্ট্রর আমরেলি জেলার লাথি কেন্দ্রের নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়ক বিরজি থুম্মারও নীতিন পটেলকে প্রস্তাব দিয়েছেন, ১০-১৫ জন সমর্থক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তিনি যদি বেরিয়ে আসতে পারেন, তবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে সামনে রেখে সরকার গড়ার চেষ্টা করবে কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেস মুখপাত্র মনীশ দোশীর বক্তব্য, এটা বিজেপির ঘরোয়া ব্যাপার। যখন দেখা যায়, যে নেতাদের দিয়ে লাভ হচ্ছে না, তাঁদের অসম্মান করে কোণঠাসা করে দেওয়া বিজেপির নীতি। বিশেষ করে এটা হয়েছে কেশুভাই পটেল, আনন্দীবেন পটেল, গোরধন জাপাদিয়ার মতো নেতাদের বেলায় ।