মুম্বই: ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবি-বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান পহেলাজ নিহালনি নিজের স্বপক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে জানালেন, তিনি কোনও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেননি।

এদিন নিহালনি জানান, শংসাপত্রের জন্য তাঁর টেবিলে আসা কোনও ছবির ওপরই তিনি ব্যক্তিগত মতামত চাপান না। সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ফিল্মকে আমি একা নই, স্ক্রিনিং কমিটি পরীক্ষা করে। আমরা নিয়মাবলি মেনে চলি এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিই।

নিহালনি যোগ করেন, যদি কোনও ফিল্মকে একজামিনিং কমিটি রুখে দেয়, তখন আমি দেখি এবং বিচার করি যে তাকে রিভাইসিং কমিটির কাছে পাঠানো হবে কি না। আমার দায়িত্ব শুধু এটুকুই। আমি সিদ্ধান্ত নিই না। কারণ, একা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই আমার।

আগামী ১৭ জুন মুক্তি পাওয়ার কথা শাহিদ কপূর, আলিয়া ভট্ট, করিনা কপূর এবং দিলজিৎ দোসাঞ্জ অভিনীত ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর। কিন্তু, তার আগে সেন্সর বোর্ডের কোপে পড়ে যায় সেটি। ছবির নাম থেকে পঞ্জাব শব্দটি বাদ দেওয়ার পরামর্শের পাশাপাশি ছবির ৮৯টি দৃশ্যে আপত্তি জানিয়ে তা বাদ দিতে বলা হয় ছবির নির্মাতাদের।

সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উড়তা পঞ্জাবের প্রযোজকরা। সেই মামলার শুনানিতে, ছবির নাম থেকে কেন ‘পঞ্জাব’ শব্দটি বাদ দিতে বলা হয়েছে, সে বিষয়ে সেন্সর বোর্ডের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন বিচারপতিরা।

শুক্রবারও সেন্সর বোর্ডের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলল বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি এদিন পরিষ্কার জানিয়েছেন, সেন্সর বোর্ডের দায়িত্ব, সিনেমাকে সার্টিফিকেট দেওয়া এবং তা রিলিজ হতে দেওয়া। প্রত্যেক দৃশ্যে কাঁচি চালানো নয়। শুক্রবার বম্বে হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলেছে, সিনেমার নামের সঙ্গে রাজ্যের কী যোগ? প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দ থাকে। টিভি হোক বা সিনেমা, মানুষকে দেখতে দেওয়া হোক।

সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান পহেলাজ নিহালনির এই আজব নিদানের বিরোধিতায় একজোট হয়ে সোচ্চার হয়েছে বলিউড।