শ্রীনগর:  গত সপ্তাহে জঙ্গিদমন অভিযানে চার সাধারণ নাগরিক সহ ২০ জন মৃত্যুর পর থেকেই থমথমে পরিস্থিতি জম্মু-কাশ্মীরে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বনধে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রায় ২০ জন জখম হন। ওই পরিস্থিতির পর থেকেই পর্যটকরা রাজ্য ছেড়ে চলে আসা শুরু করেন। তারমধ্যেই পর্যটকদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়। আহত হন বহু পর্যটক। তবে এবার পাথরের ঘায়ে জখম হওয়া চেন্নাইয়ের এক তরুণ পর্যটকের মৃত্যু হল। এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় সমস্ত মহলে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এই ঘটনায় তাঁর মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মেহবুবা।


 

চেন্নাই থেকে পরিবারের লোকের সঙ্গে কাশ্মীর ঘুরতে এসেছিলেন ২২ বছরের তরুণ আর থিরুমণি। সেসময় শ্রীনগর-গুলমার্গ রোডে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল বিক্ষোভকারীদের। সূত্রের দাবি, ঘটনার সময় সোপিয়ান জেলায় পাঁচ হিজবুল জঙ্গির মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বিক্ষোভকারীরা। বাদগাম জেলার নরবলের কাছে আর.থিরুমণিদের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা।  জখমও হন থিরুমণি সহ পরিবারের  অন্য দুই সদস্য। মাথায় গুরুতর চোট পান তরুণ। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। এই ঘটনার পর থিরুমণির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী।

পর্যটক মৃত্যুর ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা ওমর আবদুল্লা। তাঁর কথায়, বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়ে এক পর্যটক, যিনি এরাজ্যের অতিথি তাঁকে মেরে দিয়েছে। অথচ সেই পাথর ছোঁড়া বাহিনীর হামলার ধরনকেই অনেকে সমর্থন করে। তিনি আরও বলেন মেহবুবা মুফতিকেও মেনে নিতে হবে, তিনি উপত্যকায় সরকার চালাতে ব্যর্থ। বিক্ষোভ, আন্দোলন, পাথর নিয়ে হামলা, হিংসা, হানাহানি এখন উপত্যকায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। অস্থির হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি। এই অবস্থায় এখনই পিডিপি নেত্রীর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত তাঁর পদ থেকে, মন্তব্য ওমর আবদুল্লার।