শ্রীনগর: থানা, ফাঁড়ি ও ছাউনি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি হামলা রুখতে এবার বিশেষ প্রযুক্তির সহায়তা নিতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।


জানা গিয়েছে, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই প্রায় আট কোটি টাকা মূল্যের ওই যন্ত্র কিনতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এই সিস্টেমের মধ্যে থাকবে ইন্ট্রুশান ডিটেকশন সিস্টেম ও ইলেক্ট্রিক বুম ব্যারিয়ার। রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, উপত্যকায় অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জঙ্গি ও নাশকতার মোকাবিলা করে চলেছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকর্মীরা।


এই কারণে, জঙ্গিদের টার্গেট হয়ে গিয়েছে পুলিশকর্মী ও পুলিশের প্রতিষ্ঠানগুলি। বিগত কয়েকমাসে আত্মঘাতী সহ একাধিক নাশকতামূলক হামলা হয়েছে। ফলে, সেগুলিকে রক্ষা করা এবং জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে এই নতুন ব্যবস্থা বসানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।


পুলিশ সূত্রের খবর, নতুন ইন্ট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেমে রয়েছে শক সেন্সর—যা ভাইব্রেশন বা কম্পন ও শক ওয়েভের মাধ্যমে অ্যালার্ম বাজিয়ে বাহিনীকে অনুপ্রবেশ সম্পর্কে সঙ্কেত দেবে। এর ফলে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা সম্পর্কে বাহিনীর কাছে আগাম খবর পৌঁছে যাবে। তারা হামলার মোকাবিলা প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় সময় পেয়ে যাবে।


এর পাশাপাশি, দিনের বেলা সুরক্ষা-ব্যবস্থাকে উন্নত করতে এবং পুলিশের দফতরগুলিতে যাতে কেবলমাত্র অনুমোদিত গাড়িই প্রবেশ ও বাইরে যেতে পারে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট গাড়িগুলিতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) নির্ভর ভেহিকল অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।


এছাড়া, পুলিশের ইচ্ছাপূরণের তালিকায় রয়েছে—হ্যান্ড-হেল্ড গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রেডার (রেডার) ডিভাইস। এর ফলে মাটির নীচে পোঁতা আইইডি, ল্যান্ডমাইন সহ বিভিন্ন বিস্ফোরকের হদিশ সহজেই মিলবে। আবার, বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার সময় টিয়ার গ্যাসে যাতে পুলিশকর্মীদের কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য অ্যান্টি-রায়ট মাস্ক কেনার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের।