জানা গিয়েছে, অগাস্টের শেষে রাম রহিম যখন জেলবন্দি হন, তখন তাঁর ওজন ছিল ৯০ কেজি। এখন তা ৮৪ কেজি।
গুরমিত সিংহের বিরোধীদের কাছে এভাবে ওজন কমের ব্যাখ্যা রয়েছে। তাঁদের দাবি, হানিপ্রীত ইনসানের অদর্শনেই এভাবে দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছেন রাম রহিম। তা ছাড়া যেসব সুখস্বাচ্ছন্দ্য এতদিন তিনি ভোগ করে এসেছেন, জেলে সে সব কিছুই মিলছে না। যে ধরনের এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করতেন, তাই বা কে তাঁকে এখানে দেবে! যাঁর জন্য বিদেশ থেকে পানীয় জল আসত তাঁকে এখন জেলের জল পান করতে হচ্ছে, খেতে হচ্ছে জেলের খাবার।
অন্যরা অবশ্য বলছেন, জেলে বন্ধ হওয়ার পর থেকে রাম রহিমের জীবনচর্যায় যে পরিবর্তন এসেছে তারই প্রভাব পড়েছে তাঁর চেহারায়। শুধু যে জেলের খাবার খেতে হচ্ছে তাঁকে তা তো নয়, জেল কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ করা চাষের কাজেও হাত লাগাতে হচ্ছে। অন্য বন্দিদের সঙ্গে জেলের জমিতে শাকসব্জি চাষ করতে হচ্ছে তাঁকে। সুখে লালিত রাম রহিমের এ সব ব্যাপারে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। পরিশ্রমে ওজন কমছে দ্রুত।
জানা যাচ্ছে, সিনেমায় অভিনয় করার জন্য রাম রহিম ফিটনেস ট্রেনার রেখে ওজন কমাতে চেষ্টা করেন কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এক কথায়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্রত ট্রেনাররা যা করতে পারেননি, জেলে রাত্রিবাস ৪০ দিনে তা করে দিয়েছে।
৫০ বছরের লাভ চার্জার বাবার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, মধুমেহ বা ব্লাডসুগারেও ভোগেন। ওজন কমে যাওয়ার পর তাঁর ওষুধের ডোজ কমিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শারীরিকভাবে রাম রহিম সুস্থ, কোনওরকম অসুস্থতার কথা জানা গেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।