শ্রীনগর:  জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলার রফিয়াবাদে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। সূত্রের খবর, সংঘর্ষে জয়েশ-ই-মহম্মদের অন্যতম শীর্ষ নেতা খালিদের মৃত্যু হয়েছে। উপত্যকায় সাম্প্রতিক বেশ কিছু আত্মঘাতী আক্রমণের নেপথ্যে অন্যতম মাথা ছিল এই জয়েশ জঙ্গি।


সূত্রের খবর, উপত্যকায় খালিদ জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের কার্যকলাপের দেখভালের দায়িত্বে ছিল। সংঘর্ষে মৃত জঙ্গি খালিদকে কাশ্মীর রেঞ্জের আইজি মুনির খান চিহ্নিত করেছেন। উত্তর কাশ্মীরের একাধিক সেনা ছাউনিতে খালিদের নেতৃত্বের সম্প্রতি হামলায় চালায় জঙ্গিরা। তাই খালিদের মৃ্ত্যুকে নিরাপত্তাবাহিনীর বড়সড় সাফল্য হিসেবে দেখছে কাশ্মীর পুলিশ।

সূত্রের খবর, আজ সকালে সেনা বাহিনীর কাছে খবর আসে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলার রফিয়াবাদের লাডুরা এলাকায় জঙ্গিদের একটি দল লুকিয়ে রয়েছে। এরপরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেনা উপস্থিতি বুঝতে পেরে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। শুরু হয়ে যায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই।

সেনা সূত্রে খবর, খালিদ পাকিস্তানের নাগরিক। এ প্লাস প্লাস ক্যাটাগরির জঙ্গি ছিল। উপত্যকায় জয়েশ-এর কার্যকলাপ চলত তার নির্দেশে। গত সপ্তাহেই শ্রীনগর বিমানবন্দরের খুব কাছে একটি আধা সামরিক বাহিনীর ছাউনিতে হামলার ছক বানচাল করে দেয় সেনা। সেই সময়ই জঙ্গির সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এক বিএসএফ জওয়ানের। সেই হামলরা সঙ্গেও যোগ ছিল খালিদের। এই বছর জুলাই থেকে অগাস্টের মধ্যে প্রায় ছ থেকে সাত জন জঙ্গি সীমান্তে পেরিয়ে এদেশে ঢুকেছে। তারা এখনও কাশ্মীর তথা গোটা ভারতের জন্যে বড় হুমকি, দাবি কাশ্মীর পুলিশের। গত ২৬ অগাস্ট পুলওয়ামায় একটি হামলায় প্রায় আট নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল জয়েশ।