উল্লেখ্য, সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ উমর ফারুক, ইয়াসিন মালিক, আব্দুল গনি ভাটের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হয় সরকারকে। এছাড়াও তাঁরা সরকারি খরচেই পাঁচতারা হোটেলে থাকেন, সরকারি গাড়িতেই যাতায়াত করেন, সরকারি অর্থেই বিমানযাত্রাও করেন। এছাড়াও তাঁদের দেশে-বিদেশে চিকিত্সার খরচও বহন করে সরকার। এসবের জন্য সরকারের বছরে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
সম্প্রতি কাশ্মীরে অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে শ্রীনগরে গিয়েছিল সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। কিন্তু সেই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকার করেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। কোনও এক নেতার বাড়িতে প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্য গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই নেতা কথা বলার সৌজন্যটুকুও দেখাননি। এজন্য সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের প্রদত্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাতিলের কথা বিবেচনা করছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, এ বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কারণ, এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে উঠতে পারে।
এরইমধ্যে আজ কাশ্মীরের সর্বত্র ‘আজাদি যাত্রা’ আয়োজন করার ডাক দিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর এক বিক্ষোভ কর্মসূচীর কথাও ঘোষণা করছেন তাঁরা।১৩ সেপ্টেম্বর ইদের দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের কার্যালয় পর্যন্ত মিছিলেরও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও সরকারের আশা, ইদের সময় পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কারণ, সাধারণ মানুষ উত্সবে সামিল হতে আগ্রহী।