শুক্রবার রাহায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সারদা প্রসঙ্গকে টেনে এনে মোদী জানান, গরিব মানুষ বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতেন কারণ, তাঁরা ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখতে পারতেন না। মোদী বলেন, অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা—সর্বত্র সারদা কেলেঙ্কারির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে লুঠ করা হয়েছে। এই কাণ্ডের জন্য কয়েকজন জেলে রয়েছেন ঠিকই। কিন্তু, মানুষ তাঁদের হারানো চাকা ফেরত পাননি।
প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার হয়ে জোর সওয়াল করে মোদী বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় জিরো-ব্যালান্সে ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখার সুযোগ করে দিয়ে তাঁর সরকার মানুষকে বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে টাকা রাখার থেকে সরিয়ে এনেছেন। এখানেই শেষ নয়। মোদী এদিন প্রতিশ্রুতি দেন, কংগ্রেস আমলে যাঁরা এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও, যে মঞ্চ থেকে মোদী এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই মঞ্চেই ‘আলোকিত’ করে বসেছিলেন দলের নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা, যাঁকে সারদাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই। কিছুদিন আগেও তিনি তরুণ গগৈ মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এখন বিজেপিতে। বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে কী মোদী হেমন্তর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেবেন?
সারদা নিয়ে এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোদী। সম্প্রতি, মনমোহন জানিয়েছিলেন, তাঁর আমলে সরকার কথার চেয়ে কাজ করতে বেশি পছন্দ করত। এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, উনি ঠিকই বলেছেন। সারদার মতো কাজের নমুনা তাই এখন প্রকাশ পাচ্ছে।