মুম্বই: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কাঁদছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী! ১৯৬৩ সালে এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন ভারতবাসী। সেবারের ২৬ জানুয়ারির প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ভারতের নাইটঅ্যাঙ্গেলের গলায় ‘এ্যা মেরে ওয়াতন কে লোগো’ শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। যে ঘটনা বলতে গিয়ে এখনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন লতা মঙ্গেশকর।


এক সাক্ষাৎকারে গানটি নিয়ে অজানা গল্প শুনিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের পর তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। তারপর জানিয়েছিলেন, ‘খুব ভালো গেয়েছো তুমি। আমার তো চোখে জল চলে এসেছিল।’

লতা মঙ্গেশকরের কথায়, কে জানতো গানটা লোকের এত পছন্দ হবে। এভাবে দেশাত্মবোধের সঙ্গে পরিপূরক হয়ে উঠবে। এখনও স্মৃতিতে টাটকা ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের কথা। রাষ্ট্রপতি এস রাধাকৃষ্ণণ, প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধীর মতো ব্যক্তিত্বরা হাজির ছিলেন যে অনুষ্ঠানে। প্রদীপজি অমর এই গানটি লি্খেছিলেন, আমাকে গাইতে বললেও প্রথমে রেওয়াজের সেভাবে সুযোগ না থাকায় গাওয়ার বিষয়ে নিমরাজি ছিলাম।

সেসময় প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকলেও তাঁকে প্রায় জোর করেই রাজি করিয়েছিলেন বলেই জানান তিনি। লতা মঙ্গেশকর না গাইলে গোটা পরিকল্পনাই তিনি বাতিল করে দেবেন বলেই জানিয়েছিলেন। গীতিকার হেমন্ত কুমার পুরো গানটি তৈরি করার দায়িত্বে ছিলেন। যে গানটি হিট হওয়ার পর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে গাইবার জন্য তাঁর ডাক পড়ে। যদিও অনুষ্ঠানের আগের দিন প্রচণ্ড পেটের ব্যথা ভোগাচ্ছিল তাঁকে।

সেই অবস্থাতেই অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পর যখন স্টেজের পিছনে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন লতা তখন মেহবুব খান এসে তাঁকে জানান জওহরলাল নেহেরু ডাক পাঠিয়েছেন। তারপর সাক্ষাত হতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ার ঘটনা তাঁকে জানিয়েছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

তার কিছুটা পরে আরও একটা ঘটনা ঘটেছিল, ইন্দিরা গাঁধী লতা মঙ্গেশকরকে ডেকে বলেছিলেন, ’আপনার দুই খুদে ভক্ত আপনার দেখা পেতে উদগ্রীব’, যার কিছুটা পরেই সঞ্জয় ও রাজীব গাঁধীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ইন্দিরা গাঁধী।