'পদ্মাবত'-এর খিলজি আজম খানকে মনে করিয়ে দিল! বললেন জয়াপ্রদা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
01 Jan 1970 05:30 AM (IST)
নয়াদিল্লি: জয়াপ্রদা সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র তারকা প্রার্থী ছিলেন একসময়। ছিলেন আজম খানের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু স্বাভাাবিক নিয়মেই সময় বদলায়। সপা-র ঘরোয়া রাজনীতির সমীকরণ বদলের জেরে অমর সিংহের শিবিরে যেতেই আজমের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় জয়াপ্রদার। এখন দুজনের মুখ দেখাদেখিই বন্ধ প্রায়। এই সেদিন 'পদ্মাবত' দেখে বেরিয়ে এসে জয়াপ্রদা বলেন, 'পদ্মাবত' দেখছিলাম। আলাউদ্দিন খিলজিকে দেখে আমার আজম খানের মুখটা মনে পড়ছিল। আমায় ভোটের সময় কী হেনস্তাই না করেছিলেন! 'পদ্মাবত'-এ ১৩-১৪ শতকের সুলতান শাসক আলাউদ্দিন চরিত্রের নৃশংস অত্যাচারীর চেহারাটি দেখানো হয়েছে।
দুজনের সম্পর্ক যে কতটা বিষিয়ে গিয়েছে, আজমকে একেবারে সহ্যই করতে পারেন না, এই মন্তব্যেই তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন জয়া।
কিন্তু এমন ছিল না দুজনের সম্পর্ক। ২০০৪ পর্যন্ত তেলুগু দেশম পার্টিতে (টিডিপি) ছিলেন জয়া। বলিউড অভিনেত্রী উত্তরপ্রদেশের যে রামপুর কেন্দ্রে সপা হয়ে লড়ে ৮৫ হাজার ভোটে সে বছর জিতেছিলেন, সেখানে তাঁকে এনেছিলেন আজমই। কিন্তু অমর সিংহের শিবিরে যোগ দিতেই তিনি আজমের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন বলে দাবি জয়ার। প্রকাশ্যেই তাঁর নিন্দা, সমালোচনা করতে থাকেন আজম। বাছাবাছা শব্দে তাঁকে নিশানা করেন। ২০০৯ -এ গিয়ে সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয় যে, আজম-অনুরাগীরা জয়ার বিরুদ্ধেই প্রচার করতে থাকে, অথচ সপা তাঁকেই প্রার্থী করেছিল! এমনকী তাদেরই কেউ কেউ তাঁর সম্পর্কে কুরুচিকর ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ তোলেন জয়া।
২০০৯-এ জয়া রামপুরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, উনি আমার সম্পর্কে অনুগামীদের সামনে অশালীন শব্দ মুখে এনেছেন, যা আমি একজন মহিলা হয়ে বলতে পারব না। উনি করতে না বললেও ওনার কিছু সমর্থক আমায় কালো পতাকা দেখিয়েছে। ২০০৯ এও জয়া রামপুরে জেতেন, তবে মার্জিন প্রায় ৩০০০০ কমে।
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -