হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিকেল ৫ টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন এআইএডিএমকে নেত্রী। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক, জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। চিকিৎসার জন্য গঠিত হয়েছে ‘মেডিক্যাল টিম’। বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন কার্ডিওলজিস্ট, পালমোনোলজিস্ট এবং ক্রিটিকাল কেয়ার স্পেশালিস্টরা। দিল্লি থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন এইমস্-এর চিকিত্সকদের একটি দল। যোগাযোগ করা হয়েছে লন্ডনের চিকিত্সক ড. রিচার্ড বিলের সঙ্গে।
এআইএডিএমকে নেত্রীর অসুস্থতার খবর শুনেই মুম্বই থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও। ইতিমধ্যেই অ্যাপোলো হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন তিনি। রাজ্যপালকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ১০ মিনিট কথা হয় তাঁদের মধ্যে। জয়ললিতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
জয়ললিতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। অ্যাপোলোর চেয়ারম্যানকে ফোন করে খবরাখবর নেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা। সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে আধা সেনা। সিআরপিএফের ডিজিকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতালের বাইরে রাখা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
জয়ললিতার আরোগ্য কামনা করেছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। দ্রুত সেরে উঠুন আম্মা,প্রার্থনা জানিয়েছেন ডিএমকে প্রেসিডেন্ট এম করুণানিধি। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, জ্বর এবং ডিহাইড্রেশনে আক্রান্ত হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন জয়া আম্মা। এরপর তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সম্প্রতি হাসপাতালের চেয়ারম্যান জানান, জয়া আম্মার ফুসফুসে সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। ট্র্যাকিওস্টমি টিউব ভালভের মাধ্যমে কথাও বলেছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আড়াই মাসের মাথায় পুরোপুরি সুস্থ জয়ললিতা। তিনি নিজে সম্পূ্র্ণ সুস্থ অনুভব করলেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আজই দিনের শুরুতে এআইএডিএমকে মুখপাত্র জানান, পুরোপুরি সেরে উঠেছেন নেত্রী। ফিজিকাল এক্সারসাইজ, ফিজিওথেরাপি চলছে। ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করছেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যেতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন জয়া আম্মা। নেত্রীর অসুস্থতার খবর শুনেই হাসপাতালের বাইরে ভিড় করতে শুরু করেন দলীয় সদস্যরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন আম্মার অনুগামীরা।