পটনা: দলের প্রবীণ সাংসদ শরদ যাদবের অনুগামী বলে পরিচিত ২১ জন নেতাকে সাসপেন্ড করল জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউ।
খবরে প্রকাশ, সোমবার বিহার জেডিইউ সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ এই ২১ জনের প্রাথমিক সদস্যপদ সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। এদিন সাসপেনসনের খবর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক অনীল কুমার। নির্দেশিকা অনুযায়ী, সাসপেন্ড হওয়া নেতাদের তালিকায় নাম রয়েছে—প্রাক্তন মন্ত্রী রামাই রাম, শেওহরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন রাই, প্রাক্তন বিধায়ক রাজ কিশোর সিংহ এবং প্রাক্তন বিধান পরিষদ সদস্য বিজয় ভার্মার।
রামাই রাম ও অর্জুন রাইকে সম্প্রতি শরদ যাদবের তিনদিনব্যাপী সংবাদ-যাত্রায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। গত সপ্তাহে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর ডাকে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে আরেক শরদ-ঘনিষ্ঠ রাজ্যসভা সাংসদ আলি আনোয়ারকেও। এর পাশাপাশি, দল-বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে জেডিইউ-র কয়েকজন জেলাস্তরীয় কর্মকর্তাকেও।
প্রসঙ্গত, বিহারে রাজনৈতিক ডামাডোল নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারর ভূমিকার প্রকাশ্য সমালোচলা করেছিলেন শরদ যাদব। শরদের অভিযোগ, আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা মহাজোট ভেঙে এনডিএ-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে ১১ কোটি বিহারবাসীর রায়ের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন নীতীশ।
এরপরই, গত সপ্তাহে, রাজ্যসভায় জেডিইউ দলনেতার পদ থেকে শরদ যাদবকে বহিষ্কার করে দল। সেই জায়গায় স্থলাভিষিক্ত করা হয় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর অনুগত সৈনিক বলে পরিচিত প্রবীণ জেডিইউ নেতা আরসিপি সিংহকে। আগামী ১৯ তারিখ পটনায় দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের ডাক দিয়েছেন নীতীশ। সেখানেই শরদের ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার কথা।