নয়াদিল্লি: জিগীষা ঘোষ হত্যা মামলায় দুই দোষী সাব্যস্তকে মৃত্যদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একজন দোষী সাব্যস্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। জিগীষা ঘোষ একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় উচ্চপদে কর্মরতা ছিলেন।


২০০৯ সালে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে, তাঁর থেকে সমস্ত জিনিষ ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর জিগীষার থেকে এটিএম কার্ড ও গোপন পিন নম্বরও জেনে নিয়ে, তাঁকে খুন করে কোনও এক ফাঁকা জায়গায় ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা।
তিন দোষী সাব্যস্তের একজন জেরায় পুলিশকে জানিয়েছিল, মৃত্যুর আগে, সবকিছু দিয়ে কাতর ভাবে তাদের কাছে বাঁচার আর্জি জানিয়ে ছিল জিগীষা।

ঘটনার দিন, আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই অফিসের গাড়ি রাতে দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহারে জিগীষাকে তাঁর বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে যায়। বাড়ির গেটে ঢোকার মুখেই মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর তিনদিন বাদে হরিয়ানার কাছে সুরাজকুন্দ এলাকা থেকে উদ্ধার হয় জিগীষার দেহ।

এটিএম কাউন্টারে জিগীষার কার্ড দিয়ে টাকা তোলার সময়, এবং শপিং কমপ্লেক্সে কেনাকাটা করার সময় সিসিটিভিতে ধরা পড়ে দোষীসাব্যস্ত রবি কপূর, অমিত শুক্ল এবং বলজিত্ সিংহ মালিকের ছবি। সেই সূত্রেই পুলিশ ধরে ফেলে অপরাধীদের। যদিও এই দলের এটাই প্রথম অপরাধ ছিল না। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে জিগীষা হত্যার মাস ছয়েক আগে দিল্লির এক মহিলা টেলিভিশন নিউজ প্রডিউসারকে গুলি করেছিল এই দলটি। সেবারও উদ্দেশ্য ছিল ডাকাতি।