আলিগড়: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে এখনও অশান্তি অব্যাহত। গোটা জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই মধ্যে জিন্নার ছবির সমর্থকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ডেকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।


প্রশাসন জানিয়েছে, সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতীরা মিথ্যে খবরের ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে এলাকাজুড়ে। ফলে বাড়ছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় যাবতীয় ইন্টারনেট পরিষেবা আজ রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।



আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন হলে দ্বিজাতিতত্ত্ব প্রণেতা ও পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি থাকায় হিন্দু যুবা বাহিনীর কয়েকজন কর্মী ২ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে স্লোগান দেন, মারামারিও হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন হিন্দু যুবা বাহিনী কর্মীদের গ্রেফতারি দাবি করে। এ নিয়ে পড়ুয়ারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসেছেন। এরই মধ্যে জনাকয়েক ছাত্র স্থানীয় সাংবাদিকদের ভেতরে ডেকে বেধড়ক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা চলেছে।
এ ব্যাপারে মুখ খুলেছে মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলেমা এ হিন্দ। তাদের মহাসচিব মৌলানা মেহমুদ মাদানি বলেছেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা জিন্নাকে কখনও আদর্শ বলে মানেননি, তাঁর দ্বিজাতিতত্ত্ব সমর্থন পায়নি তাঁদের কাছ থেকে। সেই একই মত তাঁদেরও। ওই ছবি সরিয়ে ফেলার জন্য আলিগড়ের ছাত্রদের অনুরোধ করেছেন তিনি।