এছাড়াও এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার সাদ্দাম পদ্দার। সাদ্দাম আবার মৃত হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ ছিল। খতম হওয়া বাকি তিন জঙ্গি হল তৌসিফ শেখ, আদিল মালিক ও বিলাল ওরফে মৌলভি। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে ৫ জন সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। দুই পুলিশ আধিকারিক ও এক জওয়ান আহত হয়েছেন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এলাকায় ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
মহম্মদ রফি ভাটের বাড়ি গান্দরবাল গ্রামে। শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। জানা যায়, তিনি হিজবুলে যোগ দিতে গিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জৈনপুরা এলাকার বড়ীগাম গ্রামে জঙ্গিরা ঘাপটি মেরে ছিল বলে খবর। এরপরই আজ সকালে সেনা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। শুরু হয় সংঘর্ষ। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এস পি পানি জানিয়েছেন, ‘অধ্যাপক ভাট লুকিয়ে আছেন খবর পেয়ে আমরা গান্দেরবল থেকে তাঁর পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আসি। তিনি যাতে আত্মসমর্পণ করেন, তার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। সংঘর্ষের মাঝ পড়ে কয়েকজন তরুণ জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেক প্রচুর অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ’
এই ঘটনার পরেই স্থানীয় তরুণরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দু’দিনের জন্য কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল যে পরীক্ষাগুলি হওয়ার কথা ছিল, সেগুলি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।