নয়াদিল্লি: উপত্যকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি নিয়ে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গেও তাঁর আলোচনায় বসার কথা।


প্রধানমন্ত্রীর ৭, লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে বৈঠকে বসেন দু’জন। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে যে হাতে গোনা ভোট পড়েছে তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়, কথা হয় উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও। মেহবুবা জানিয়েছেন, পাথর ছোঁড়া বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে তাঁর সরকার। একইসঙ্গে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্যের কল্যাণ নিয়েও।

তিনি চান, কঠোরভাবে বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা নয়, নেওয়া হোক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর পন্থা। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বারবার বলছেন, বাজপেয়ীর নীতি অনুসরণ করবেন তিনি। অটলবিহারী সন্ধির কথা বলতেন, সংঘর্ষ নয়।

মেহবুবা জানিয়েছেন, আলোচনা শুরু করতে গেলে প্রথমে উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। পাথর ছোঁড়া আর বুলেটের মধ্যে কথা সম্ভব নয়। তবে আলোচনা চাই। নিজেদেরই লোকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি বজায় রাখা সম্ভব নয়।

তাঁর দাবি, উপত্যকায় এমন অনেক মানুষ আছেন, সন্ত্রাস সম্পর্কে যাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে, আবার এমনও আছেন, যাঁদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়েও। এই চুক্তিতে রাজ্যের মানুষের লোকসান হচ্ছে বলে তিনি অনুযোগ করেছেন। ক্ষতিপূরণেরও অনুরোধ করেছেন তিনি।

যদিও উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের মধ্যে ব্যবদান ক্রমশ বাড়ছে। পিডিপি বোঝাপড়া চায়, উল্টোদিকে বিজেপি চায়, কঠোর হাতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে। উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রও মেহবুবা সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট। তারা নাকি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় কোনওমতেই সম্মতি নেই তাদের। একইসঙ্গে তারা চায়, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মোকাবিলায় নামা নিরাপত্তাবাহিনীকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিতে।