শ্রীনগর: অবশেষে পনেরো ঘণ্টা পর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শেষ হল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ত্রালে। প্রসঙ্গত, এই ত্রালই হচ্ছে উপত্যকায় নিহত হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির বাসস্থান। সেখানেই আজকের সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই হিজবুল জঙ্গির, নিহত এক পুলিশ কন্সটেবল। আহত তিন সেনা জওয়ান, এঁদের মধ্যে একজন মিলিটারি মেজরও রয়েছেন।


গতকাল নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ত্রালে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার। এরপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা জওয়ান, সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের একটি দল। তারপরই শুরু হয় চিরুণি তল্লাশি। এরপরই এলাকার একটি বাড়িতে জঙ্গিদের গোপন আস্তানা থাকার খবর পেয়ে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। বিপদ বুঝে শুরু হয় আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। নিরাপত্তা বাহিনীর লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা, ছোঁড়া হয় গ্রেনেডও। এরপরই পাল্টা হামলা করে সেনা বাহিনী।

শনিবার শেষরাতে ওই বাড়ির ওপরতলায় আগুন লেগে যায়, তবে গুলির লড়াই তারপরও চলতে থাকে।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের ত্রালের নাজনিনপোরা গ্রামে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে গতকালই সেখানে পৌঁছয় নিরাপত্তা বাহিনী। পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে সেনা জওয়ানরা। এরপরই যে বাড়িতে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পাওয়া গিয়েছিল, সেই বাড়ি ঘিরে ফেলতেই শুরু হয় গুলির লড়াই। সংঘর্ষ থামাতে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের এক কন্সটেবলকে বেধড়ক মেরে তাঁর সার্ভিস রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গিয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়েছে এই সংঘর্ষ।