শ্রীনগর: গত মাসে শ্রীনগরে শীর্ষ পুলিশ অফিসার আয়ুব পন্ডিতকে গণপিটুনিতে হত্যায় অভিযুক্তদের ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানাল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।


গত ২২ জুন সন্ধ্যায় শ্রীনগরের জামা মসজিদের বাইরে পাকিস্তান ও আল কায়েদার হয়ে স্লোগান দেওয়া উন্মত্ত জনতা পিটিয়ে মেরে ফেলে ডিএসপি পদমর্যাদার ওই পুলিশ অফিসারকে। সেদিন ছিল রমজান মাসের পবিত্রতম সন্ধ্যা সাহব-ই-কাদর। নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি স্তম্ভিত করে দেয় অনেককে। তিনি সাদা পোশাকে ছিলেন। সেখানে রাতভর প্রার্থনায় জড়ো হওয়া লোকজনের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন বাহিনীতে ছিলেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে প্রকাশ, মাঝরাতে পাকিস্তান ও আল কায়েদা নেতা জাকির মুসার সমর্থনে এক বিরাট জনতা মসজিদের বাইরে জমায়েত হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। পন্ডিত বাইরে বেরিয়ে এসে তাদের ভিডিও তোলেন। আচমকা তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু হয়। পন্ডিত সার্ভিস পিস্তল থেকে শূন্যে গুলি চালিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও জনতা তাঁকে কাবু করে ফেলে। তাঁর জামাকাপড় খুলে পাথর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করা হয়।

আজ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি মুনির খান আজ আরও গ্রেফতারি হবে বলে জানান। বলেন, ডেপুটি পুলিশ সুপার আয়ুব পন্ডিতের গণধোলাই খুবই ভয়াবহ ঘটনা। উপত্যকায় এমন ঘটনা এটিই প্রথম। মামলার তদন্ত দ্রুত সঠিক পথেই এগচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

ঘটনাচক্রে পন্ডিত হত্যায় অভিযুক্তদের অন্যতম হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সাজিদ আহমেদ গিলকার দুই সঙ্গি আকিব গুল ও জাভেদ আহমেদ শেখ সমেত গত ১২ জুলাই বদগামের রেদবাগ অঞ্চলে রাতভর চলা সংঘর্ষে নিহত হয়। সেদিনই এক পদস্থ পুলিশকর্তা জানিয়েছিলেন, সিকিউরিটি উইংয়ের ডিএসপি মহম্মদ আয়ুব পন্ডিতের গণপিটুনিতে বড় ভূমিকা ছিল গিলকারের।