সুধীর কে সুতার নামে ওই অধ্যাপক জেএনইউয়ের অধ্যাপক সংগঠন টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা। কাউন্সিলের বৈঠকে অনেক সদস্য এটা সাম্প্রদায়িক ব্যাপার বলে সওয়াল করে 'ইসলামি সন্ত্রাসবাদ' নিয়ে কোর্স রাখার বিরোধিতা করেছেন বলে জানান তিনি। বলেন, অনেক সদস্যই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও ধর্মকে জুড়ে দেওয়া উচিত নয় বলে দাবি করে 'ইসলামি সন্ত্রাসবাদ' বিষয়ে আপত্তি করেছেন। তাদের মতে, 'ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ' এটা।
বৈঠকে হাজির আরেক অধ্যাপক বলেন, আলোচনায় এ ব্যাপারে বিতর্ক হয় এবং অনেকে 'ইসলামি সন্ত্রাসবাদ' কোর্স পড়ানো সমর্থন করে বলেন, বিশ্বজুড়ে এটা স্বীকৃত এবং সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত অধিকাংশ ঘটনার সঙ্গে ওই ধর্মের যোগ রয়েছে। সুতার বলেন, প্রস্তাবটি গৃহীত হয় এবং বলা হয়, আপত্তির জায়গাগুলি পরে বিবেচনা করা হবে।
প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছে সেন্টার ফর আফ্রিকান স্টাডিজ-এর অধ্যাপক অজয় কুমার দুবের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের কমিটি। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথম ৫ বছর ওই সেন্টার শুধু গবেষণায় জোর দেবে।
দুবে বলেন, ফিডব্যাক, আলোচনার জন্য রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। যাবতীয় প্রস্তাব, তাতে আসা আপত্তিগুলি নিয়েও পরে আলোচনা হবে।
এদিকে 'ইসলামি সন্ত্রাসবাদ' নিয়ে কোর্স পড়ানোর প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি জানিয়ে জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের নেত্রী গীতা কুমারী বলেছেন, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত উদ্বেগের।। জেএনইউয়ের উপাচার্য 'ইসলামি সন্ত্রাসবাদ' নিয়ে কোর্স পড়ানোর প্রস্তাব পেশে সম্মতি দিয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার নামে ইসলাম সম্পর্কে আতঙ্ক ছড়ানো, প্রচার বিরাট সমস্যা তৈরি করবে। মনে হচ্ছে, সাধারণ ভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনার চেয়ে বরং আরএসএস-বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের তথ্যই এসব কোর্সের মাধ্যমে ছড়ানো হবে।