নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী বাম ছাত্র সংগঠনগুলির জয়জয়কার। ছাত্র সংসদের চারটি আসনেই আইসা, এসএফআই ও ডিএসএফ-এর সংযুক্ত বাম  জোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। তৃতীয় স্থানে দলিতপন্থী ছাত্র গঠন বিরষা অম্বেডকর ফুলে স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএপিএসএ) ।

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সংসদ সভাপতি পদে ৪৬৪ ভোটে জয়লাভ করেন বাম জোটের প্রার্থী গীতা কুমারী। এবিভিপি-র নিধি ত্রিপাঠীকে হারিয়েছেন তিনি।গীতা কুমারী পেয়েছেন ১,৫০৬ ভোট। নিধি ত্রিপাঠির প্রাপ্ত ভোট ১,০৪২।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন প্যানেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিএপিএসএ-র শাবানা আলি পেয়েছেন  ৯৩৫ ভোট।

সহ সভাপতি পদে আইসা-র সিমোনে জোয়া খান মোট ৪,৬২০ ভোটের মধ্যে ১,৮৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি এবিভিপির দুর্গেশ কুমারকে হারিয়েছেন। দুর্গেশ পেয়েছেন ১০১৮ ভোট।

সাধারণ সম্পাদকের পদেও জিতেছেন বাম প্রার্থী দুগ্গিরালা শ্রীকৃষা। তিনি পেয়েছেন ২০৮২ ভোট। এই পদে এবিভিপি প্রার্থী নিকুঞ্জ মাখওয়ানা পেয়েছেন ৯৭৫ ভোট। যুগ্ম সচিব পদে ১৭৫৫ ভোট পেয়ে জিতেছেন বাম প্রার্থী শুভাংশু সিংহ। এবিভিপি-র পঙ্কজ কেশরী পেয়েছেন ৯২০ ভোট।

জয়ের পর গীতা কুমারী বলেন, এই ফলাফলে কৃতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। কারণ, মানুষ এখনও বিশ্বাস করেন যে, গণতান্ত্রিক পরিসর রক্ষা করতে হবে। তা রক্ষা করতে এই মুহুর্তে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন পড়ুয়ারাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিব জঙ্গের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পাশাপাশি আসন ছাঁটাই, নতুন হোস্টেল সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে সরব হবেন বলে জানিয়েছেন গীতা কুমারী।

দুগ্গারিলা বলেছেন, জেএনইউ আরও বেশি গণতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। এবিভিপি-র আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে তাঁরা রুখে দাঁড়াবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক ও ভিন্ন মত প্রকাশের সংস্কৃতি রক্ষা করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।