আপ বিধায়ক পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাদের প্রার্থী হন বেদ প্রকাশ। তাঁর পরাজয়ের দায় নিয়েছেন দিল্লির বিজেপির সভাপতি মনোজ তেওয়ারি।
এই জয় আপের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ব্যর্থতার মাঝে নতুন আশার আলো দেখাল তাদের। ২০২০-র দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগে উজ্জীবিত করবে অরবিন্দ কেজরীবালের দলকে। গত এপ্রিলে রাজৌরি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জামানত খুইয়েছিলেন আপ প্রার্থী। আপের দখল থেকে আসনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী মনিন্দর সিংহ সিরসা।
দিল্লি পুরসভা ভোটেও বিপর্যস্ত হয় আপ। রাজনৈতিক মহলে আপের অস্তিত্ব থাকবে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠে যায়। গোয়া বিধানসভা ভোটে হেরে যায়, পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনেও ক্ষমতা দখলে প্রয়োজনীয় আসন না পেয়ে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় আপকে।
এই প্রেক্ষাপটে বাওয়ানা কেন্দ্রটি দখলে রেখে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে কিনা, সেটাই দেখার।
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বাওয়ানা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে একাধিক বস্তি, গ্রাম। বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ পূর্বাঞ্চলী অর্থাত্ উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে কাজের সন্ধানে আসা লোকজন। আপের জয়ের পিছনে রয়েছে এরাই।
কলকাতার খবর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাওয়ানার সাফল্যের জন্য অরবিন্দ কেজরীবাল ও তাঁর দলকে ট্যুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।