পটনা: সাংবাদিক রাজীব রঞ্জন হত্যায় অভিযুক্ত, শার্পশুটার মহম্মদ কাইফের সঙ্গে লালু পুত্রের তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজপ্রতাপের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে সদ্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়া আরজেডি ডন মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের সাগরেদ কাইফ ওরফে বান্টি।



এছাড়া আরও একটি ছবি প্রকাশ্যে এসে নীতীশকুমার সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সাহাবুদ্দিন ভাগলপুর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময় ওই কাইফ দাঁড়িয়ে আছে তাঁর পাশে। জানা গেছে, বহু অপরাধে অভিযুক্ত কাইফ সেদিন সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ভাগলপুর থেকে সিওয়ান এসেছিল। সে সিওয়ানের বাসিন্দা আবার সাহাবুদ্দিনের ডেরাও সিওয়ানে- ফলে দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিয়েছেন বিহারবাসী।



এছাড়া ওই কাইফই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে তেজপ্রতাপের সঙ্গে তার ছবি। রাজীব রঞ্জন হত্যা মামলায় সরাসরি তার নাম না উঠলেও বিহার পুলিশ কাইফকে খুঁজছে, কারণ, খুনের দু’দিন আগে রাজীবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল সে। খুনে মুখ্য অভিযুক্ত লাড্ডন মিঞার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। সে নিয়েও লাড্ডন মিঞার দলের শার্পশুটার বলে পরিচিত।

তেজপ্রতাপের অবশ্য দাবি, কাইফকে তিনি চেনেন না। রোজ হাজার লোকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, কে কেমন জানেন না তিনি। বরং এ সবই ‘বিজেপির ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন আরজেডি সুপ্রিমোর কনিষ্ঠ পুত্র। লালুর বড় ছেলে ও বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী তো আর এক ধাপ এগিয়ে প্রশ্ন করেছেন, আসারাম বাপুরও তো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি আছে। তাতে কী?

পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, সাহাবুদ্দিনের জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করছে তারা। রাজীব রঞ্জন হত্যায় সন্দেহভাজন মহম্মদ কাইফকে তিনি চিনলেন কী করে, তার জবাব দিতে হবে।