গত ২৫ জানুয়ারি রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক দামিনী। আচমকাই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে দুজন মদ্যপ যুবক অনুসরণ করছে। দামিনী আগ্রায় দেন নিউজ আগ্রা চ্যানেলে সঞ্চালিকার পদে কাজ করেন। উত্তরপ্রদেশের বৃহত্তর কেবল নেটওয়ার্কের অন্যতম এই দেন নিউজ চ্যানেল।
তবে সে রাতে পুলিশ প্রশাসন বা পথচারীর থেকে সাহায্য না পেলেও, নিজের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন দামিনী। সেই পোস্টেই দামিনী জানান, ১০৯০ নম্বরে ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি। উত্তরপ্রদেশে বিপদে পড়া মহিলাদের রক্ষার্তে সেখানকার সরকার এই হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করে। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সাহায্য করল, এই ঘটনাই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
দামিনী লিখেছেন, গত ২৫ জানুয়ারি সন্ধেবেলা ভগবান টকিজের কাছাকাছি একটি জায়গা থেকে দুজন মদ্যপ যুবক তাঁকে অনুসরণ করা শুরু করে। দুজনেই একটি বাইকে ছিল। তরুণী সেই সময় ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলেন। প্রথমে মেয়েটিকে দেখে হাসে ওই দুই যুবক, তারপর কথা বলার চেষ্টা করে। এরপরই দামিনী নিজের রাস্তা বদলে ফেলে। কিন্তু তারপরও তাঁকে অনুসরণ করে চলে ওই দুই যুবক।
তখনই দামিনী বাইকের নম্বর নেওয়ার চেষ্টা করলে, তরুণীর দাবি, তাঁকে বলা হয়, নম্বরটি ভুয়ো। তারপর চলে দুই যুবকের নানা অঙ্গভঙ্গি।
দামিনী নিজের ফেসবুক পোস্টটিতে আগ্রার এসএসপি, ডিজিপি উত্তরপ্রদেশ এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও ট্যাগ করেছেন। তারপর দামিনী লেখেন, সেদিন রাতে হয়তো কপাল জোড়ে তাঁর কিছু হয়নি, কিন্তু এভাবে পুলিশের ভয় না পেয়ে প্রকাশ্যে এধরনের কীর্তিকলাপ করা নিঃসন্দেহে চিন্তার। কারণ, কাল এরাই কোনও মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, তাঁর জীবন শেষ করে দেবে, মন্তব্য দামিনীর।
সোমবার এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে আগ্রা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ডি ধারায় মামলা রুজু করেছে।