নয়াদিল্লি: আয়কর অফিসারদের দুর্নীতি ও করদাতাদের হয়রানি রুখতে এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করার ভাবনাচিন্তা করছে আয়কর দফতর। যেখানে, কোনও আয়কর অফিসার অ্যাসেসি বা করদাতার পরিচয় জানতে পারবেন না। কোন মামলা কার কাছে যাচ্ছে, তা কম্পিউটারের মাধ্যমে স্থির হবে।
রাজস্ব দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, প্রথমে পাইলট হিসেবে এই পন্থা দিল্লি ও মুম্বইতে চালু করা হবে। তারপর এর সাফল্য বিচার করে পরবর্তীকালে এই নিয়ম সারা দেশে লাগু করা হবে।
প্রসঙ্গত, মোট ১৮টি আয়কর জোনে বিভক্ত করা হয়েছে দেশকে। করদাতাদের অ্যাসেসমেন্টের দায়িত্ব পান সংশ্লিষ্ট জোন বা অঞ্চলের আয়কর অফিসার।
নতুন ‘জুরিসডিকশন-ফ্রি অ্যাসেসমেন্ট’ সিস্টেমে এই অ্যাসেসমেন্ট জোনের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে করদাতাদের মূল্যায়নের দায়িত্ব দেশের যে কোনও প্রান্তের অফিসারের কাছে যেতে পারে।
ওই কর্তা জানান, দুর্নীতি রুখতে করদাতা ও মূল্যায়নকারী অফিসারের পরিচয় গোপন রাখা হবে। এতে এক দিকে যেমন দুর্নীতি রোখা সম্ভব হবে। তেমনই করদাতার অকারণ হয়রানিও রোখা যাবে।
করদাতাদের সুবিধার্থে আয়কর দফতরে বিপুল সংস্কার চলছে। এরজন্য ১৩ জন আয়কর অফিসারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে এধরনের সুপারিশগুলিকে কার্যকর করার প্রয়াস চলছে। যার মধ্যে অন্যতম হল—করদাতা ও তাঁর মূল্যায়নকারী আয়কর অফিসারের মুখোমুখি সাক্ষাত হওয়ার প্রয়োজন থাকবে না। একান্ত প্রয়োজন হলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তা করা হবে।