মু্ম্বই: পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে 'ভাল' আচরণের সুবাদে মেয়াদ শেষের আট মাস আগেই গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন ছেড়ে দেওয়া হয় সঞ্জয় দত্তকে, মহারাষ্ট্র সরকারকে কারণ ব্যাখ্যা করতে বলল বম্বে হাইকোর্ট।
১৯৯৩ সালের মুম্বই সিরিয়াল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত কয়েকটি অস্ত্র নিজের কাছে রাখায় দোষী সাব্যস্ত হন সঞ্জয়।

এদিন বিচারপতি আর এম সাবন্ত ও বিচারপতির সাধনা যাদবের ডিভিশন বেঞ্চে পুনের বাসিন্দা জনৈক প্রদীপ ভালেকরের জনস্বার্থ পিটিশনের শুনানি হয়। কারাবাসে থাকাকালে সঞ্জয়কে নিয়মিত প্যারোল, ফরলো মঞ্জুর করার কারণ জানতে চেয়েছেন তিনি।

আদালত মহারাষ্ট্র সরকারকে হলফনামা পেশ করে জানাতে বলেছে, সঞ্জয়কে নমনীয়তা দেখানোর ক্ষেত্রে কী কী মাপকাঠি মাথায় রাখা হয়েছিল, কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল।

বিচারপতি সাবন্ত প্রশ্ন করেন, ডিআইজি কারা-র মতামত কি নেওয়া হয়েছিল বা জেল সুপার কি রাজ্যপালকে নিজেই সরাসরি সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন। জেল কর্তৃপক্ষই বা কী করে সিদ্ধান্তে এলেন যে, সঞ্জয়ের আচরণ ভাল?
তিনি যেখানে অর্ধেকটা সময় প্যারোলেই ছিলেন, সেখানে তারা এমন মূল্যায়নের সময়টা পেল কোথায়? আদালতে সপ্তাহখানেক বাদে আবার শুনানি হবে।

২০০৭-এর ৩১ জুলাই অস্ত্র আইনে সঞ্জয়কে দোষী ঘোষণা করে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় মুম্বইয়ের টাডা আদালত , ২৫ হাজার টাকার জরিমানাও হয়। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় বহাল রেখে সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৫ বছর ধার্য করে।

তবে তদন্ত ও দীর্ঘ সময়ের বিচারপর্বে ১৮ মাস জেলে কাটিয়ে ফেলেন তিনি। ফলে কারাবাসের মেয়াদ ফের কমে। সঞ্জয় সাজার বাকি মেয়াদ খাটতে আত্মসমর্পণ করেন। ইয়েরওয়াড়া জেলে থাকাকালে ২০১৩-র ডিসেম্বরে একবার ৯০ দিন, পরে আবার ৩০ দিন প্যারোল, ফরলোয় ছাড়া পান তিনি।