প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ভারত সফরের সময় মোদীকে প্রোটকল ভেঙে দেখা গিয়েছে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে, তাঁদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্যে। কিন্তু ট্রুডোকে সেই অভ্যর্থনা জানাতে দেখা যায়নি মোদীকে। অনেকেই মনে করছেন, ট্রুডোর খালিস্তানি জঙ্গিদের প্রতি যে দুর্বল মনোভাব রয়েছে, সেকারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই নীরবতা দেখিয়েছেন।
এমনকি কূটনৈতিক স্তরে অস্বস্তি বাড়িয়ে সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে ট্রুডো পত্নীর সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গি জসপল অটওয়ালের একটি ছবিও ভাইরাল হয়ে যায়। জানা যায়, দিল্লিতে ট্রুডোর সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের তালিকাতেও ছিল ওই জঙ্গি। পরে যদিও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, ওই অনুষ্ঠানে জসপলের আমন্ত্রণ বাতিল হয়ে যায়।
ভারত ও কানাডার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একদিন যে সাময়িক নীরবতা ছিল, সেটা ভেঙে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে, মোদী বৃহস্পতিবার টুইট করে এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে আশা প্রকাশ করেন। আজকের বৈঠকে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, পরমাণু চুক্তি সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান মোদী। একাধিক চুক্তিপত্রে সই হওয়ার কথাও রয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও দেখা করবেন ট্রুডো।