নয়াদিল্লি: অপরাধী কে? কে কাকে ধর্ষণ করেছে? একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে দুই অভিযুক্ত। দুজনকেই আটক করেছে পুলিশ।
ফেসবুকের মাধ্যমে বছর ২৬-এর এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় বছর ১৭-এর এক কিশোরের। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। দিল্লির মাহিপালপুর এলাকার একটি হোটেলে দেখা করে দুজন। সেখানে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। ওই মহিলার অভিযোগ ছেলেটি তাকে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা করেছে, আবার নাবালকের পাল্টা অভিযোগ ওই মহিলাই তাকে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ওই মহিলা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে ছেলেটি। মহিলার অভিযোগ, ওই কিশোরই তাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে কোনও পানীয় খাইয়েছিল। এতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। মহিলার অভিযোগ, হোটেলের ঘরও ছেলেটিরই বুক করা।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই কিশোর। তার দাবি, মহিলাই জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। সে জানায়, ফেসবুকে ক্রমাগত তাকে দেখা করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিল ওই মহিলা। সে জানায়, তার কাছে অত টাকাও নেই যে তিনতারা ওই হোটেলের ঘর বুক করবে। ওই মহিলাই অ্যালকোহল এনে তাকে জোর করে খাইয়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে পুলিশে খবর দেয়।
দুজনকেই আটক করেছে পুলিশ। আপাতত বসন্ত কুঞ্জ থানায় রয়েছে তারা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মধুচক্রের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে।